যুক্তরাষ্ট্রের অভিনেত্রী জেইমি কিং তার প্রাক্তন স্বামী কাইল নিউম্যানের সঙ্গে চলমান সন্তানের হেফাজত সংক্রান্ত আইনি লড়াই নিয়ে মুখ খুলেছেন। সম্প্রতি এক পডকাস্টে তিনি জানান, সন্তানদের অভিভাবকত্ব হারানোর পর তার কেমন লাগছে।
৪৫ বছর বয়সী জেইমি কিং, যিনি ‘ব্ল্যাক সামার’ (Black Summer) খ্যাত, অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত। তিনি জানান, তার ১১ বছর বয়সী ছেলে জেমস এবং ৯ বছর বয়সী লিও’র অভিভাবকত্ব হারানোর বিষয়টি কতটা ভয়ের। প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করে বলেন, সন্তানদের হেফাজত পাওয়ার জন্য তিনি তার অতীত জীবন সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছেন।
জেইমি কিং-এর মতে, একজন মা হিসেবে তার প্রধান দায়িত্ব হলো সন্তানদের সুরক্ষা দেওয়া। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমি জানতাম না যে, ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ালে এবং একসঙ্গে সংসার গড়লে, এমন একটা সময়ে এসে সবকিছু এভাবে বদলে যেতে পারে। আইন ব্যবস্থা যে এমন হয়, তা আমার ধারণাই ছিল না।”
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এখন জেইমি কিং সপ্তাহে মাত্র তিন দিন, এক ঘণ্টার জন্য সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এছাড়াও, তাকে মাদক ও অ্যালকোহল বিষয়ক একটি ৬ মাসের পুনর্বাসন কেন্দ্রে অংশ নিতে হবে। সেখানে নিয়মিত পরীক্ষার পাশাপাশি একটি বিশেষ প্রোগ্রামেও অংশ নিতে হবে। শুধু তাই নয়, ২৬ সপ্তাহের একটি প্যারেন্টিং প্রোগ্রাম এবং ব্যক্তিগত কাউন্সেলিং-এর মতো বিষয়গুলোও তাকে সম্পন্ন করতে হবে।
জেইমি কিং জানিয়েছেন, তিনি চান এই ধরনের শিশু হেফাজত সংক্রান্ত আইনের পরিবর্তন হোক। তিনি মনে করেন, “স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য এত বড় মূল্য দিতে হয়, যা খুবই হতাশাজনক।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি এই পদ্ধতির পরিবর্তন করার জন্য আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করব।”
তথ্যসূত্র: পিপল