কমির ‘৮৬ ৪৭’ পোস্ট: ট্রাম্পকে হত্যার আহ্বান? তোলপাড়!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন এফবিআই প্রধান জেমস কোমির একটি সামাজিক মাধ্যম পোস্ট ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত содержа করে এমন একটি বার্তা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

কোমি একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন, যেখানে সমুদ্র সৈকতে ঝিনুক সাজিয়ে ‘৮৬ ৪৭’ সংখ্যা দুটি তৈরি করা হয়েছিল। সমালোচকদের একাংশ এই সংখ্যা দুটিকে ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার গোপন বার্তা হিসেবে দেখছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘৮৬’ একটি পরিচিত শব্দ। এর অর্থ হলো কোনো কিছু বাতিল করা বা সরিয়ে দেওয়া। আর ‘৪৭’ এখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের পদের ক্রমিক সংখ্যাকে নির্দেশ করে।

অর্থাৎ, এই সংখ্যা দুটি ব্যবহার করে ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

বিতর্ক শুরু হওয়ার পরেই কোমি তাঁর পোস্টটি সরিয়ে নেন। তিনি দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে সহিংসতার কোনো সম্পর্ক নেই।

তিনি আরও জানান, ছবি তোলার সময় এমন কোনো রাজনৈতিক বার্তার কথা তাঁর মাথায় আসেনি।

তবে, কোমির এই বক্তব্য ট্রাম্প সমর্থকদের শান্ত করতে পারেনি। দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এবং সিক্রেট সার্ভিস ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে।

এমনকি রিপাবলিকান দলের কট্টর সমর্থকরা কোমির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। তাঁদের দাবি, কোমির এই পোস্টের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টকে হত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এক টুইট বার্তায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি কোমির বিরুদ্ধে তাঁর বাবাকে হত্যার ইঙ্গিত দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন।

এদিকে, এই ঘটনার জেরে জেমস কোমির সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুরনো সম্পর্ক নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল সার্ভার ব্যবহার নিয়ে তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন কোমি। অনেকেই মনে করেন, এই তদন্তের কারণে হিলারি নির্বাচনে হেরে যান।

এরপর ২০১৭ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোমিকে এফবিআই প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেন। তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল রাশিয়া বিষয়ক তদন্ত নিয়েও।

বর্তমানে, এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। তদন্তকারীরা কোমির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা কতটুকু, তা খতিয়ে দেখছেন।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *