নিজের ভেতরের কথা! মেটালিকাকে নিয়ে মুখ খুললেন জেমস হেটফিল্ড!

মেটালিকা: সঙ্গীতের এক কিংবদন্তী, ভক্তদের অনুপ্রেরণা।

বিশ্বজুড়ে পরিচিত হেভি মেটাল ব্যান্ড মেটালিকা। তাদের গান শুধু শোনাই নয়, অনেক ভক্তের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে।

সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের ট্রিবেকা চলচ্চিত্র উৎসবে মুক্তি পেয়েছে তাদের নতুন তথ্যচিত্র ‘মেটালিকা সেভড মাই লাইফ’। এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে ব্যান্ডের সঙ্গে ভক্তদের গভীর সম্পর্ক, যা বহু মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে সাহস জুগিয়েছে।

এই তথ্যচিত্রে, মেটালিকার সদস্যরা তাদের ব্যক্তিগত জীবন এবং সংগ্রামের কথা বলেছেন। ব্যান্ডের প্রধান গায়ক ও গিটারিস্ট জেমস হেটফিল্ড, যিনি অতীতে মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পুনর্বাসন কেন্দ্রে ছিলেন, এই ছবিতে নিজের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন।

তিনি জানান, মঞ্চে পারফর্ম করার সময় তিনি স্বাভাবিক জীবনের চেয়ে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

হেটফিল্ড আরও বলেন, “আমি আমার ভক্তদের কাছে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উপস্থাপন করতে পারি। আর আমি যেমন, তারা আমাকে সেভাবেই গ্রহণ করে। আমাদের চারজনের মধ্যে এত গভীর সম্পর্ক, যা একসঙ্গে পথ চলতে সাহায্য করে। ব্যান্ড হিসেবে আমাদের চতুর্থ দশকেও অনেক কিছু করার আছে। প্রতি দশকে আমরা আরও ভালো হয়েছি।”

ছবিটিতে মেটালিকার ড্রামার লার্স উলরিচ ভক্তদের বৈচিত্র্যের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ভক্তদের মধ্যে এত ভিন্নতা রয়েছে, তাদের গল্পগুলোও আলাদা। তাদের উদযাপন করার জন্যই এই ছবি।”

মেটালিকার বেসিস্ট রবার্ট ট্রুজিলো বলেন, “এই ছবিতে এমন কিছু মুহূর্ত আছে যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানুষকে স্পর্শ করে। ভক্তরা আমাদের কাছে সঙ্গীতের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য।”

তথ্যচিত্রটিতে শুধু গান নয়, মেটালিকার সদস্যদের ব্যক্তিগত জীবন, তাদের ভক্তদের প্রতি ভালোবাসা এবং কীভাবে তারা কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন, সে সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে।

গিটারিস্ট কার্ক হামেট জানান, কনসার্ট থেকে ফিরে তিনি সমুদ্রের ধারে সার্ফিং করতে যান, যা তাকে মাটির কাছাকাছি থাকতে সাহায্য করে।

মেটালিকা ৪৪ বছর ধরে সঙ্গীত জগতে সক্রিয়। তাদের কনসার্টে বিভিন্ন প্রজন্মের ভক্তদের দেখা যায়।

হেটফিল্ড বলেন, “আমরা বুড়ো হয়েছি, আমাদের ভক্তরাও বড় হয়েছে এবং তাদের সন্তান হয়েছে। আমরা এখন একই সঙ্গে তিনটি প্রজন্মকে কনসার্টে দেখি। কনসার্টে আমরা দর্শকদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই, যা সবসময়েই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

মেটালিকা শুধু একটি ব্যান্ড নয়, এটি একটি পরিবারের মতো, যা বিশ্বজুড়ে সঙ্গীতের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *