রাজকুমারী কেট মিডলটনের ক্যান্সার নির্ণয় নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর ছোট ভাই, জেমস মিডলটন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এই কঠিন সময়ে পরিবারের সকলে মিলে কীভাবে একে অপরের পাশে ছিলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’-এর সাথে কথা বলার সময় জেমস, যিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও লেখক, মানসিক স্বাস্থ্য এবং তাঁর নতুন বই ‘মিট এলা: দ্য ডগ হু সেভড মাই লাইফ’ নিয়েও কথা বলেন।
২০১৮ সালে প্রকাশিত এই বইটিতে মূলত তাঁর জীবনের একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা, অর্থাৎ একটি কুকুরের মাধ্যমে কীভাবে তিনি মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন, সেই বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, তাঁর বড় বোন, প্রিন্সেস অফ ওয়েলস কেট মিডলটনের ক্যান্সার ধরা পড়ার পর পরিবার হিসেবে তাঁরা কঠিন এক সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন।
২০২৪ সালের মার্চ মাসে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে কেটের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার খবর জানানো হয়।
এর কয়েক মাস পরেই, সেপ্টেম্বরে তিনি জানান যে তাঁর কেমোথেরাপি সম্পন্ন হয়েছে।
এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে জানা যায়, তিনি এখন ক্যান্সারমুক্ত।
জেমস মিডলটন আরও বলেন, “পরিবার হিসেবে আমরা সবসময় একে অপরের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
কেটের এই অসুস্থতা আমাদের সকলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং সময় ছিল, তবে আমরা আলোচনা ও সমর্থনের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “কাউকে সমর্থন করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, এবং সবসময় নিজের শর্তে নয়, বরং তাঁর (আক্রান্ত ব্যক্তির) প্রয়োজন অনুযায়ী পাশে থাকতে হয়।
নিঃশর্তভাবে, কোনো প্রতিদান আশা না করে পাশে থাকাই ভালোবাসার আসল বহিঃপ্রকাশ।”
শুধু কেটের অসুস্থতা নয়, জেমস তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও কথা বলেন।
২০১৭ সালের শেষের দিকে তিনি জানান যে, তিনি অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিসঅর্ডার (এডিডি) এবং ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ভুগছেন।
এমনকি তাঁর আত্মহত্যার চিন্তাও আসত।
সেই সময় তিনি নিয়মিতভাবে কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি (সিবিটি) শুরু করেন।
এছাড়াও অনিয়মিত হৃদস্পন্দন ও ঘুমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু ওষুধ সেবন করতেন।
বর্তমানে তিনি ওষুধ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রিন্স উইলিয়াম, প্রিন্সেস অফ ওয়েলস কেট এবং প্রিন্স হ্যারির ‘হেডস টুগেদার’ নামে একটি প্রচারণা ছিল, যা জেমসের মানসিক স্বাস্থ্যের লড়াইয়ে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে।
জেমস জানান, তাঁর বোন কেট এবং তাঁর আরেক বোন পিপা মিডলটনও কয়েকবার তাঁর থেরাপি সেশনে উপস্থিত ছিলেন, যা তাঁকে মানসিক দিক থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী করেছে।
আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেমস বলেছিলেন, “জীবনে উত্থান-পতন আসতেই পারে।
আমাদের সবারই কোনো না কোনো সময়ে বাধার সম্মুখীন হতে হয়।
এটা কোনো বিষয় নয় যে আপনি কে, বা আপনার বেড়ে ওঠা কেমন হয়েছে।
আমরা একটি ঘনিষ্ঠ পরিবার এবং আমরা সবসময় একসঙ্গে এই বাধাগুলো অতিক্রম করার চেষ্টা করি।”
তথ্য সূত্র: পিপলস