ব্রিটিশ অভিনেতা জেমস নেলসন-জয়েস, যিনি বর্তমানে টেলিভিশন জগতে দ্রুত পরিচিতি লাভ করছেন। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত তাঁর অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাজ তাঁকে এনে দিয়েছে আকাশচুম্বী খ্যাতি।
‘দিস সিটি ইজ আওয়ার্স’, ‘আ থাউজেন্ড ব্লোজ’ এবং ‘ব্ল্যাক মিরর’-এর মতো জনপ্রিয় টিভি শো-গুলোতে তাঁর অনবদ্য অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের নজর কেড়েছে।
তাঁর সাফল্যের পেছনে রয়েছে আরেক কিংবদন্তী অভিনেতা, স্টিফেন গ্রাহামের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা। তাঁদের প্রথম দেখা হয়েছিল একটি রেস্টুরেন্টে, যেখানে নেলসন-জয়েস তাঁর পছন্দের অভিনেতা স্টিফেন গ্রাহামের সঙ্গে পরিচিত হন।
সেই সাক্ষাৎ থেকেই যেন তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে যায়। গ্রাহাম শুধু তাঁর অনুপ্রেরণা ছিলেন না, বরং তাঁর পরামর্শদাতা এবং বন্ধু হিসেবেও পাশে ছিলেন।
সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা এই অভিনেতার অভিনয় জীবনের শুরুটা সহজ ছিল না। তিনি জানান, পড়াশোনার সময়ে তিনি ডিসলেক্সিয়ার শিকার ছিলেন, যা তাঁর পথচলায় অনেক বাধা তৈরি করেছে।
কিন্তু সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে তিনি আজ সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন।
‘দিস সিটি ইজ আওয়ার্স’-এ তাঁর চরিত্রটি দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই সিরিজে তিনি মাইকেল কাভানাঘের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা তাঁর অভিনয় জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ।
এছাড়াও, ‘আ থাউজেন্ড ব্লোজ’-এ তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে, যেখানে তিনি স্টিফেন গ্রাহামের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেছেন।
শুধু অভিনয় নয়, সমাজের প্রতিও নেলসন-জয়েসের রয়েছে গভীর দায়বদ্ধতা। তিনি পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ে একটি সিনেমা বানানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জেমস নেলসন-জয়েসের উত্থান প্রমাণ করে, কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং সঠিক দিকনির্দেশনা থাকলে যে কেউ তাঁদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তাঁর এই সাফল্যের গল্প অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা যোগায়।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান