আতঙ্কে জামি ডাইমন! অর্থনীতিতে কি তবে বড় বিপদ?

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন জেপি মরগান চেজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেমি ডিমন। সম্প্রতি এক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য শুল্কের কারণে শীঘ্রই ইতিবাচক অর্থনৈতিক সূচকগুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত মরগান স্ট্যানলি ইউএস ফাইনান্সিয়াল কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে ডিমন বলেন, “আমরা খুব শীঘ্রই বাস্তব চিত্র দেখতে পাবো এবং আমার মনে হয়, খুব সম্ভবত এই চিত্রটা শীঘ্রই খারাপের দিকে যাবে।”

ডিমন মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতি এখনো পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি এবং কর্মসংস্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে সরাসরি প্রভাব ফেলতে শুরু করেনি। তবে পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে অর্থনীতির অবনতি হতে পারে। বাণিজ্য শুল্কের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তনগুলো আসছে, তার সম্পূর্ণ প্রভাব বুঝতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।

তিনি উল্লেখ করেন, এপ্রিল মাসের শুরু থেকে ভোক্তা আস্থা এবং শেয়ার বাজারের সূচক কিছুটা বেড়েছে, তবে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি নির্ধারণে “ভোক্তা অনুভূতি বা ব্যবসায়িক ধারণা”-র চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কঠিন অর্থনৈতিক উপাত্ত। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতির মতো বিষয়গুলো এক্ষেত্রে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ডিমন আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত এর (শুল্কের) প্রভাব অনুভূত না হলেও জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে হয়তো এর ফল দেখা যেতে পারে। আমার ধারণা, এর একটা প্রভাব পড়বে, তবে খুব বেশি হবে না বলেই আমি আশা করি।”

তিনি আরও যোগ করেন, অভিবাসন কমে গেলে তা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। “এগুলো অনেকগুলো বিষয়, যা চলমান,” বলেন ডিমন।

যদিও ডিমন মনে করেন, শুল্কের প্রভাব হয়তো অর্থনীতিকে কিছুটা অস্থির করে তুলবে, কিন্তু এর ফলে ‘জাহাজ ডুবে যাবে’ এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, “আমি এই ধরনের সামান্য উত্থান-পতন নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নই, তবে সামরিক জোট এবং বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন, কারণ এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

তথ্য সূত্র: সিএনএন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *