শিরোনাম: হলিউডের দুই তারকার বন্ধুত্বের গল্প: খ্যাতি ও শোকের ছায়া
হলিউডের রুপালি পর্দার দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র, জেমি লি কার্টিস এবং মারিসকা হার্গেটাই। তাদের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, যার মূল কারণ হলো তাদের “কিংবদন্তিদের ঘরে জন্ম”।
সম্প্রতি, মারিসকা হার্গেটাই তার মা, প্রয়াত অভিনেত্রী জেন ম্যানসফিল্ডকে নিয়ে তৈরি করা একটি তথ্যচিত্রের প্রিমিয়ারে এসেছিলেন। এই উপলক্ষ্যে, জেমি লি কার্টিস এবং মারিসকার মধ্যেকার সম্পর্ক নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
মারিসকা হার্গেটাইয়ের মা ছিলেন এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেন ম্যানসফিল্ড। অন্যদিকে, জেমি লি কার্টিস-এর বাবা-মাও ছিলেন স্বনামধন্য অভিনেতা-অভিনেত্রী – টনি কার্টিস এবং জ্যানেট লেই। যেন হলিউডের আলো ঝলমলে দুনিয়ার প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য তারা।
জেমি লি কার্টিস এবং মারিসকা হার্গেটাইয়ের বন্ধুত্বের সূত্রপাত হয় দেড় বছর আগে। তাদের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে জেমি লি জানান, “আমরা দুজনেই লস অ্যাঞ্জেলেসে বড় হয়েছি। আমাদের দুজনেই মা-বাবা ছিলেন কিংবদন্তি। দুজনেই জনসাধারণের কাছে পরিচিত মুখ ছিলাম, অনেকটা নাটকের মতোই।”
মারিসকা হার্গেটাইয়ের জীবনের একটি কঠিন অধ্যায় হলো তার মায়ের অকাল মৃত্যু।
১৯৬৭ সালে এক ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান জেন ম্যানসফিল্ড। তখন মারিসকার বয়স মাত্র ৩ বছর। এই ঘটনাটি তাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
জেমি লি কার্টিস উল্লেখ করেন, “মারিসকা যে কঠিন পরিস্থিতি পার করে এসেছেন, তা আমি পাইনি। আমার মা ছিলেন আমার পাশে।”
মারিসকার তথ্যচিত্র “মাই মম জেইন” (My Mom Jayne)-এ তার মায়ের জীবন ও কর্ম তুলে ধরা হয়েছে।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটির প্রিমিয়ার হয়। মারিসকা নিজেই এই ছবির পরিচালক।
তিনি জানান, “আমার গল্পটা আমিই বলতে চেয়েছিলাম।” নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “প্রত্যেকেরই উচিত নিজের গল্প বলা, কারণ এটি আমাদের শক্তিশালী করে তোলে।”
“মাই মম জেইন” আগামী ২৭ জুন HBO এবং Max-এ মুক্তি পাবে।
তথ্য সূত্র: পিপল