২৫ বছর বয়সে প্লাস্টিক সার্জারি! মুখ খুললেন জেমি লি কার্টিস, তারপর…

অভিনেত্রী জেমি লি কার্টিস, যিনি ‘হ্যালোইন’ (Halloween) সিনেমার জন্য সুপরিচিত, সম্প্রতি নিজের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২৫ বছর বয়সে প্লাস্টিক সার্জারি করানোর সিদ্ধান্তটি ছিল তার জীবনের একটি ভুল পদক্ষেপ। এই সিদ্ধান্তের কারণ ছিল ১৯৮৫ সালের ‘পারফেক্ট’ (Perfect) সিনেমার শুটিং সেটে এক সিনেমাটোগ্রাফারের করা একটি মন্তব্য।

জেমি লি কার্টিস জানিয়েছেন, সিনেমাটোগ্রাফার তার চোখের বিষয়ে সমালোচনা করেছিলেন, যা তাকে হতাশ করে তোলে। এর পরেই তিনি প্লাস্টিক সার্জারির সিদ্ধান্ত নেন।

কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে এর ফল নিয়ে অনুশোচনা করেন।

এই প্রসঙ্গে, জেমি লি কার্টিস বলেন, “আমি সঙ্গে সঙ্গেই এর ফল অনুভব করতে শুরু করি এবং এখনো এর জন্য অনুশোচনা করি।”

প্লাস্টিক সার্জারির এই অভিজ্ঞতার পাশাপাশি, জেমি লি কার্টিস তার মাদকাসক্তির কথা উল্লেখ করেছেন।

অস্ত্রোপচারের পর তিনি ব্যথানাশক ওষুধের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। তিনি জানান, এই ওষুধগুলো তাকে এক ধরনের উষ্ণতা দিত।

তবে, তিনি সবসময় বিষয়টি গোপন রাখতে চেষ্টা করেছেন।

বর্তমানে, জেমি লি কার্টিস স্বাভাবিক সৌন্দর্যের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং নারীদের প্রতি আহ্বান জানান নিজেদের আসল রূপে ভালোবাসতে।

তিনি সমাজের সৌন্দর্য বিষয়ক ধারণার সমালোচনা করেন এবং প্লাস্টিক সার্জারির প্রতি মানুষের অতি আগ্রহকে ভুল হিসেবে চিহ্নিত করেন।

জেমি লি কার্টিসের মতে, “নিজের মুখের সঙ্গে আপস করা উচিত নয়, কারণ একবার পরিবর্তন করলে তা ফিরিয়ে আনা কঠিন।”

জেমি লি কার্টিসের বাবা-মা, কিংবদন্তি অভিনেতা টনি কার্টিস এবং জ্যানেট লেই, তাদের কর্মজীবনের শুরুতে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন। এই বিষয়টিও তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

জেমি লি কার্টিসের এই অভিজ্ঞতা আমাদের সমাজে সৌন্দর্য এবং শরীরের গঠন নিয়ে বিদ্যমান ধারণাগুলোকে নতুন করে ভাবতে শেখায়। তিনি প্রমাণ করেছেন, বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে আত্ম-স্বীকৃতি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *