শিরোনাম: যৌন দৃশ্যের শ্যুটিং: পুরোনো দিনের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে নতুন দিগন্তের উন্মোচন জেন ফন্ডার
জেন ফন্ডা, যিনি তাঁর অভিনয় জীবনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন, সম্প্রতি জানিয়েছেন সিনেমার শুটিংয়ে অন্তরঙ্গ দৃশ্য ধারণের সময়কার কিছু অভিজ্ঞতার কথা। তাঁর মতে, বর্তমানে সিনেমার জগতে ‘ইнтиমেসি কোঅর্ডিনেটর’ -এর ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা আগে তাঁর সময়ে ছিল না।
এই কোঅর্ডিনেটররা সেটে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী এই প্রসঙ্গে কথা বলেন।
আশির দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর মতে, আগে সিনেমার সেটে এমন কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না, যা কোনো সমস্যা হলে কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে, সে বিষয়ে সাহায্য করতে পারে। তাঁর ভাষায়, “আমি যখন অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতাম, তখন যদি একজন অভিনেতাকে বলতে হতো, ‘অনুগ্রহ করে আমার বাঁ দিকের স্তন উন্মোচন করবেন না’, তাহলে বিষয়টি কঠিন হয়ে যেত।
এই প্রসঙ্গে তিনি তাঁর ১৯৬৮ সালের সিনেমা ‘বারবারেলা’-র কথা উল্লেখ করেন। সিনেমায় যৌন আবেদনময়ী এক মহাকাশচারীর চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, সেই সময়ে কোনো প্রস্তাব পেলে, বিশেষ করে কোনো পুরুষের কাছ থেকে পেলে, তা প্রায় মেনেই নিতে হতো।
শুধু জেন ফন্ডাই নন, কেট উইন্সলেট, এমা থম্পসন এবং ইওন ম্যাকগ্রেগরের মতো তারকারাও তাঁদের পুরোনো সিনেমাগুলোর শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে জানিয়েছেন, যদি সেই সময়ে ‘ইнтиমেসি কোঅর্ডিনেটর’ থাকতেন, তাহলে ভালো হতো।
টাইটানিক খ্যাত অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট জানিয়েছেন, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়ের সময় অথবা নগ্ন হতে হলে, এমনকি চুম্বনের দৃশ্যের সময়ও তাঁর একজন সহায়কের প্রয়োজন ছিল, যিনি তাঁর হয়ে কথা বলতে পারতেন।
কেট উইন্সলেট আরও জানান, অনেক সময় এমন হয়েছে যখন তিনি ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল বা সেটের পরিবেশ নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি। কিন্তু সেই সময়ে তিনি নিজের মতামত জানাতে দ্বিধা বোধ করতেন, কারণ তিনি হয়তো অন্যদের বিরক্ত করতে চাইতেন না।
সিনেমা জগতে নারীদের প্রতি সম্মান এবং তাঁদের সুরক্ষার বিষয়টি এখন অনেক বেশি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। #MeToo আন্দোলনের পর এই বিষয়গুলো আরও বেশি আলোচনায় এসেছে।
তথ্য সূত্র: পিপল