জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শিঞ্জো ইশিবার দায়িত্বে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাঁর জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে, যার ফলে তিনি উভয় কক্ষেই সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
তবে, এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও, ইশিবা জানিয়েছেন যে তিনি এখনই পদত্যাগ করছেন না।
সোমবার (২১শে জুলাই, ২০২৫) টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দেশের স্বার্থে এবং উদ্ভূত সমস্যাগুলো মোকাবিলায় তিনি এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে চান না।
তাঁর প্রধান উদ্বেগের কারণ হলো, জাপানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে চলমান জটিলতা।
আগামী ১লা আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি সম্পন্ন করার সময়সীমা রয়েছে, যা তাঁর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।
প্রধানমন্ত্রী ইশিবা বলেছেন, তিনি মনে করেন এই মুহূর্তে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি করা ঠিক হবে না।
জনগণের প্রতি তাঁর দায়িত্ব রয়েছে এবং তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চান।
তাঁর মতে, বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো বিষয়গুলো কোনো অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য অপেক্ষা করবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক একটি সমাধানে পৌঁছানো তাঁর লক্ষ্য।
এজন্য তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আগ্রহী।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নিম্নকক্ষের নির্বাচনেও ইশাবার জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়।
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
সেই কারণে, বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রেও তাঁকে বেগ পেতে হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং মজুরি বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতেও তাঁর সরকার এখনো পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে, মার্কিন গাড়ি এবং চালের জাপানে কম বিক্রির বিষয়েও ট্রাম্প প্রশাসন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এর ওপর ১লা আগস্ট থেকে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের যে হুমকি রয়েছে, তা ইশাবার জন্য নতুন একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস