জাপানের শেয়ার বাজারে সোমবার এক বিরাট দরপতন হয়েছে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
দেশটির প্রধান শেয়ার সূচক, নিক্কেই, সোমবার দিনের শুরুতে অন্তত ৮ শতাংশের বেশি কমে যায়। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, এই পতনের ফলে সূচকটি ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের পর প্রথমবারের মতো ৩৩,০০০-এর নিচে নেমে এসেছে।
একই সঙ্গে, বৃহত্তর টপিক্স সূচকেরও ৯ শতাংশের বেশি পতন হয়েছে।
শেয়ার বাজারের এই দরপতনের কারণ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতির কারণে সৃষ্ট উদ্বেগকে প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা এবং বাজারের অস্থিরতা জাপানের শেয়ার সূচকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাপানের অর্থনীতির এই দুর্বলতা বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কারণ, জাপান বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সহযোগী এবং বিনিয়োগের অন্যতম উৎস।
জাপানি কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক এবং তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া, জাপানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিও উল্লেখযোগ্য হারে হয়ে থাকে।
তাই, জাপানের অর্থনীতির অবনতি ঘটলে তা বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তারা বলছেন, বাজারের এই অস্থিরতা কাটিয়ে উঠতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে।
একইসাথে, তারা পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। দেশের শেয়ার বাজার, বিশেষ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জেও (ডিএসই) এর প্রভাব কেমন পড়ে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব অর্থনীতির এই অস্থির পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উচিত হবে রপ্তানি বাজারকে আরো বহুমুখী করা এবং নতুন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করা। এছাড়াও, দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন