উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণা, চাঞ্চল্যকর! জাপানের নতুন নেতার বিস্ফোরক মন্তব্য

জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করতে আগ্রহী।

জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি এই বৈঠকটি করতে চান।

দুই কোরিয়ার মধ্যে সমুদ্র দ্বারা বিভাজিত এই দুটি দেশের মধ্যে অতীতে উপনিবেশ স্থাপন এবং বিভিন্ন ধরনের সংঘাতের কারণে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সফল হয়নি। তবে তাকাইচি মনে করেন, সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে একটি ফলপ্রসূ সমাধান খুঁজে বের করা সম্ভব।

এই আলোচনার মূল বিষয় হলো কয়েক দশক আগে উত্তর কোরিয়া কর্তৃক জাপানি নাগরিকদের অপহরণের ঘটনা। জাপানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৯৭০ এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৮০ এর দশকে উত্তর কোরিয়ার এজেন্টরা অন্তত ১৭ জন জাপানি নাগরিককে অপহরণ করেছিল।

যদিও উত্তর কোরিয়া অপহরণের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক করে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা অথবা অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে থাকে।

জাপানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০০২ সালে পাঁচজন অপহৃত নাগরিককে তারা ফেরত পেয়েছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত অপহরণের শিকার হওয়া অনেকের পরিবার তাদের স্বজনের ফিরে আসার অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে।

এই ইস্যুটি সমাধানে তাকাইচি তার পূর্বসূরীদের মতোই চেষ্টা চালাচ্ছেন। এর আগে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা উভয়ই কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।

এর আগে ২০০২ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুনইচিরো কোইজুমি উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ গিয়ে কিম জং ইলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো জাপানি প্রধানমন্ত্রী উত্তর কোরিয়া সফর করেন।

সেই বৈঠকে উত্তর কোরিয়া অপহরণের কথা স্বীকার করে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

জুনইচিরো কোইজুমি ২০০৪ সালে আবারও উত্তর কোরিয়া সফর করেন। সেই সময় আরও কয়েকজন অপহৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের জাপানে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা কার্যত থমকে আছে। বর্তমানে, তাকাইচি অক্টোবরে নির্বাচনে জয়লাভের পর ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন এবং তিনি এই পুরোনো সমস্যা সমাধানে আগ্রহী।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *