চাল নিয়ে হাহাকার! জাপানে জরুরি মজুত ছাড়ল সরকার, বাড়ছে উদ্বেগ

জাপানে চালের সংকট: বাজার স্থিতিশীল করতে কৌশলগত মজুদ থেকে চাল ছাড়ছে সরকার।

জাপানে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার তাদের কৌশলগত চালের মজুদ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চাল বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিকূল আবহাওয়া, তীব্র গরম এবং সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশটির বাজারে চালের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

জাপানের খাদ্য তালিকায় চালের গুরুত্ব অপরিসীম, তাই খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকারের এই উদ্যোগ।

জাপানের খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে প্রায় ২ লক্ষ ১০ হাজার টন চাল ছাড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই পরিমাণ দেশটির সামগ্রিক মজুদের ২০ শতাংশের বেশি।

গত বছর, ৬০ কিলোগ্রামের এক বস্তা চালের দাম বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৬০ মার্কিন ডলারে, যা দুই বছর আগের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের তরফ থেকে এই জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

জাপানে চালের এই সংকট নতুন নয়। এর আগে, ১৯৯৫ সালে অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার কারণে চালের ফলন কমে যাওয়ায় সরকার বাইরে থেকে খাদ্য আমদানি করতে বাধ্য হয়েছিল।

এরপর ২০১১ সালের ভূমিকম্প ও সুনামির সময় এবং ২০১৬ সালের কুমামোতো ভূমিকম্পের পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় মজুত থেকে চাল সরবরাহ করা হয়।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাজারে চালের সরবরাহ বাড়লে দ্রুতই দাম কমে আসবে। তবে, কিছু ভোক্তা এই চালের গুণগত মান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

তারা বলছেন, পুরনো চাল হওয়ায় এর স্বাদ এবং গুণগত মান হয়তো আগের মতো থাকবে না।

জাপানের কৃষিমন্ত্রী তাকু ইতো এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা চাই ভোক্তারা আতঙ্কিত না হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করুক। বাজারে পর্যাপ্ত চাল সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।”

উল্লেখ্য, চালের মতো খাদ্যশস্যের সংকট শুধু জাপান নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই উদ্বেগের কারণ।

অনেক দেশেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৌশলগত মজুদ গড়ে তোলার প্রবণতা দেখা যায়।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *