সংবাদ সংস্থা: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাপানি গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতি স্বাগত জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপটি দুই দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও স্থিতিশীল করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জুলাই মাসের ২২ তারিখে উভয় পক্ষ এই শুল্ক হ্রাস করার বিষয়ে একমত হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী, আগে যে ২৫ শতাংশ শুল্ক ছিল, তা কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই চুক্তি বাস্তবায়নে তার সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে এবং দ্রুততম সময়ে একটি উপযুক্ত সমাধানে পৌঁছানো গেছে।
এই শুল্ক হ্রাসের সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এলো, যখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী তার দলের অভ্যন্তরে ডানপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বীদের চাপের মুখে রয়েছেন, কারণ জুলাই মাসের নির্বাচনে তাদের দল পরাজিত হয়েছিল।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটনে জাপানের শীর্ষ শুল্ক আলোচক রিয়োসেই আকাজাওয়া এবং মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লটনিক একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন। এই বিবৃতিতে তারা যুক্তরাষ্ট্রে জাপানের ৫৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আকাজাওয়া জানিয়েছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে গাড়ি এবং যন্ত্রাংশসহ অন্যান্য পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক হার কার্যকর হবে এবং বিদ্যমান হারে কোনো অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে না। বিমানে এবং বিমানের যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে এই শুল্ক ছাড় প্রযোজ্য হবে না।
আলোচনায় জানা গেছে, জুলাই মাসে দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি হওয়ার পর, জাপানি কর্মকর্তারা জানতে পারেন যে প্রাথমিক চুক্তিতে বিদ্যমান হারের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক যোগ করা হয়েছিল। এরপর জাপান এতে আপত্তি জানায়।
ওয়াশিংটন তাদের ভুল স্বীকার করে এবং অতিরিক্ত শুল্ক পরিশোধ করা হলে তা ফেরত দিতে রাজি হয়। আকাজাওয়া আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই সিদ্ধান্ত খুব শীঘ্রই কার্যকর হবে, সম্ভবত দুই সপ্তাহের মধ্যে।
প্রধানমন্ত্রী আবে জানান, তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে ‘সোনালী যুগ’ তৈরির আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন এবং তাকে জাপান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি শুল্কের পরিবর্তে বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়ে এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বলেছেন, ‘চুক্তির দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য বাস্তবায়ন জরুরি।’
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস