জনপ্রিয় জাপানিজ রেস্টুরেন্ট চেইন সুকিয়ায় খাবার দূষণের কারণে প্রায় ২ হাজার দোকান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই চেইনটি মূলত ‘গিউডন’ বা গরুর মাংসের বাটি পরিবেশন করে থাকে, যা জাপানে বেশ জনপ্রিয়।
সম্প্রতি, একটি দোকানে ইঁদুর এবং অন্য একটিতে পোকামাকড় পাওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারিতে তোত্তোরি অঞ্চলের একটি সুকিয়া রেস্টুরেন্টের মিসো সুপে একটি ইঁদুর পাওয়া গিয়েছিল। এর কয়েক সপ্তাহ পরেই, টোকিওর একটি শাখায় খাবারে পাওয়া যায় একটি পোকামাকড়।
এই ঘটনার পরেই, ভোক্তাদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে, ৩১শে মার্চ থেকে ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত বেশিরভাগ শাখা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সুকিয়া কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমরা আমাদের গ্রাহকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমরা পরিস্থিতিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেব।”
জাপানে সুকিয়ার ১৯৫৭টি এবং অন্যান্য দেশে ৬৭৫টি শাখা রয়েছে। শুধু চীন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড এবং ব্রাজিলে এদের ব্যবসা রয়েছে।
ঘটনাগুলোর পর, ক্ষতিগ্রস্ত শাখাগুলো জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
খাবার নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে, সুকিয়া কর্তৃপক্ষ তাদের ভেরিফায়েড একাউন্ট থেকে দুঃখ প্রকাশ করে। তারা জানায়, ঘটনার জন্য দায়ী কর্মীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টোকিওর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
জাপানে খাদ্য সুরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোনো রেস্টুরেন্টে পোকামাকড় বা ইঁদুরের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে, তা গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করে।
এই কারণে, সুকিয়ার এই পদক্ষেপ তাদের সুনাম রক্ষার পাশাপাশি ভোক্তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন