ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন মধ্যপ্রাচ্য সফরের প্রাক্কালে, প্রাক্তন উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে তিনি নীরবে ট্রাম্প প্রশাসনকে পরামর্শ দিচ্ছেন।
বিশেষ করে, ইসরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে কুশনারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইছে প্রশাসন।
জানা গেছে, কুশনার সম্ভবত ট্রাম্পের সফরসঙ্গী হবেন না, তবে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনাগুলোতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে এবং কিভাবে আরব নেতাদের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে পরিচিত ব্যক্তিরা বলছেন, কুশনার এই অঞ্চলের পরিস্থিতি ভালো বোঝেন। তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক অনেক প্রভাবশালী আরব নেতার সঙ্গে রয়েছে, যা এই আলোচনার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কুশনার আব্রাহাম চুক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। এই চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) এবং বাহরাইনের মতো দেশগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে।
তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক জটিল। গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার পর গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
সৌদি আরবের ডি-ফ্যাক্টো নেতা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়।
বিশ্লেষকদের মতে, কুশনার মনে করেন, এমন কিছু প্রস্তাব রয়েছে যা সৌদি আরবকে রাজি করাতে পারে। তবে, বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা, এই সফরে সৌদি আরবের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হবে।
ট্রাম্পের এই সফরে একাধিক মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তাঁর সঙ্গে থাকবেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
যদিও কুশনার আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সফরে যুক্ত থাকছেন না, তবে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁর পরামর্শ এখনো গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: সিএনএন