আলো ঝলমলে: জেসন কেলসি ও কাইলি’র ঘরে নতুন সদস্য!

“হুররে! আবার কন্যা সন্তান!” – আমেরিকান ফুটবল তারকা জেসন কেলসি ও কাইলি কেলসির পরিবারে নতুন সদস্যের আগমন।

যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ফুটবল খেলোয়াড় জেসন কেলসি এবং তাঁর স্ত্রী কাইলি কেলসি তাঁদের চতুর্থ কন্যার আগমনের খবর ঘোষণা করেছেন। রবিবার জন্ম নেওয়া এই নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে ফিনলে “ফিন” অ্যান কেলসি।

মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে ছবিসহ এক পোস্টে এই সুখবর জানান তাঁরা।

ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দেখা যায়, ফিনলেকে গোলাপী টুপি ও নীল ফিতা দিয়ে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। ছবিতে বাবা-মা দু’জনই তাঁদের নবজাতককে ধরে আছেন। ছবিগুলোর ক্যাপশনে লেখা ছিল, “হুররে! আবার কন্যা সন্তান!”

জেসন কেলসি একসময় আমেরিকান ফুটবল দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি সেন্টারের দায়িত্ব পালন করতেন এবং ফিলাডেলফিয়া ঈগলস দলের হয়ে খেলে পরিচিতি লাভ করেন।

কাইলির সঙ্গে তাঁর বিবাহিত জীবন বেশ সুখের। তাঁদের আগে আরও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে: ওয়ায়েট, এলিয়ট ও বেনেট।

কাইলি কেলসি নভেম্বরে তাঁর গর্ভবতী হওয়ার খবরও ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছিলেন। সেই ছবিতে তাঁদের তিন মেয়ে—ওয়ায়েট, এলিয়ট ও বেনেটকে দেখা যায়।

ছবিতে এলিয়ট হাসিখুশি, ওয়ায়েট কানে হাত দিয়ে আছে, আর বেনেট কাঁদছে। কাইলি লিখেছিলেন, “মনে হচ্ছে, আমরা মেয়েদের নতুন বোন আসার অনুভূতিটা বেশ ভালোভাবেই তুলে ধরেছি। অন্তত এলি, মা ও বাবার একই মত!”

জেসন কেলসির ভাই, কানসাস সিটি চিফসের খেলোয়াড় ট্রাভিস কেলসি, তাঁদের যৌথ ‘নিউ হাইটস’ পডকাস্টে এই খবর শোনেন। পডকাস্টের শুরুতে জেসন ট্রাভিসকে তাঁর নতুন ভাতিজিকে দেখতে চাওয়ার কথা বলেন।

ট্রাভিস কিছুটা অবাক হয়ে উত্তর দেন, “অবশ্যই আমি আমার নতুন ভাতিজিকে দেখতে চাই, জেসন। তুমি তো কেবল একটা ছবি পাঠিয়েছ।

নামটা কী রেখেছিস, সেটাও বলিসনি!”

পরে কাইলি ফিনলেকে নিয়ে আসেন, তখন ট্রাভিস উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেন, “আরে, মিষ্টি মেয়ে! কেমন আছিস? মায়ের সঙ্গে ঘুরছিস?”

জেসন তখন কাইলির কানে হেডফোন লাগিয়ে দেন। ট্রাভিস জানতে চান, তাঁরা কি এখনও মেয়ের কোনো নাম ঠিক করেননি, নাকি এরই মধ্যে কিছু একটা ভেবেছেন।

কাইলি তখন ফিনের নাম জানান।

জেসন এরপর ফিনের মাথায়ও হেডফোন লাগিয়ে দেন, যাতে ট্রাভিস তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারে। ট্রাভিস তখন বলেন, “আরে ফিন, তোকে খুব সুন্দর লাগছে। তুই কি বাইরে এসে খুশি?”

জেসন যোগ করেন, “কাইলির গর্ভ কেমন ছিল?” কাইলি হেসে উত্তর দেন, “খুব আরামদায়ক ছিল, তাই তো আমরা তাকে বের করে এনেছি।”

এই মজাদার আলোচনা শুনে ট্রাভিস হেসে ওঠেন এবং বলেন, “আমি দুঃখিত, তোমার বাবা একজন অদ্ভুত মানুষ।”

ফিনকে কাইলি কোলে নেওয়ার পর ট্রাভিস এই মুহূর্তটিকে “সুন্দর” বলে উল্লেখ করেন। জেসন শিশুদের “অসাধারণ” বলে বর্ণনা করেন এবং স্বীকার করেন যে, জন্মের প্রথম ছয় মাস তাদের তেমন কিছুই করার থাকে না।

জেসন আরও বলেন, “যখন তারা হাসতে শুরু করে এবং কিছু করতে পারে, তখনই আসলে মজা শুরু হয়।” জেসন তাঁর স্ত্রীকে সন্তান জন্ম দিতে দেখাটাকে “সবচেয়ে পাগল করা একটি অভিজ্ঞতা” হিসেবে বর্ণনা করেন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *