খুশির দিনে কাঠির খাবার! কীভাবে উদযাপন করবেন?

কাঠির খাবার দিবস: খাদ্যরসিকদের জন্য এক আনন্দময় আয়োজন

খাবার জিনিস কাঠিতে গেঁথে খাওয়ার মজাই আলাদা, তাই না? আইসক্রিম থেকে শুরু করে কাবাব—কত কিছুই তো আমরা কাঠিতে চড়ে খেতে ভালোবাসি। এই মজাদার খাদ্য সংস্কৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতি বছর ২৮শে মার্চ পালিত হয় ‘কাঠির খাবার দিবস’।

আসলে, কাঠির খাবারের ধারণা নতুন নয়। খাদ্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রায় তিন লক্ষ বছর আগেও মানুষ কাঠিতে গেঁথে খাবার রান্না করত। সময়ের সাথে সাথে এই ধারণা বিভিন্ন সংস্কৃতিতে ভিন্ন রূপ নিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে শিস কাবাব-এর জন্ম, যা একসময় সৈন্যদের তরবারিতে মাংস গেঁথে রান্নার চল থেকে এসেছে।

আবার, ১৯০৫ সালে ফ্রাঙ্ক এপারসন নামের এক ১১ বছর বয়সী বালকের আবিষ্কার—যা পরে আইসক্রিমে পরিণত হয়, সেটিও কিন্তু কাঠির খাবারের দারুণ উদাহরণ।

এই দিনে আপনিও মেতে উঠতে পারেন উৎসবে। বন্ধু-বান্ধবদের সাথে পছন্দের খাবারগুলি উপভোগ করতে পারেন। স্থানীয় বাজারে উপলব্ধ নানান কাবাব, ফল কিংবা আপনার পছন্দের অন্য কোনো খাবার—যা কাঠিতে গেঁথে খাওয়া যায়, সেগুলোর আয়োজন করতে পারেন।

এছাড়া, শিশুদের সাথে পুরোনো আইসক্রিমের কাঠি দিয়ে তৈরি করতে পারেন নানান ধরনের হাতের কাজ।

কাঠির খাবারের দুনিয়াটাও বেশ মজার। যেমন, ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় তৈরি হয়েছিল বিশ্বের দীর্ঘতম কাবাব, যার দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ২০৪৭.৪৭ মিটার। এমনকি, মিশরের প্রাচীন ফারাওদের জন্য তৈরি হতো বিশেষ মার্শম্যালো।

শুধু তাই নয়, প্রতি বছর টেক্সাস স্টেট ফেয়ারে প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি ‘কর্ন ডগ’ বিক্রি হয়!

আসুন, এই কাঠির খাবার দিবসে আমরা সবাই মিলে পছন্দের খাবার উপভোগ করি, নতুন কিছু চেষ্টা করি, আর খাদ্য-সংস্কৃতির এই মজাদার দিকটি উদযাপন করি!

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল এন্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *