শিরোনাম: ‘জস’-এর শুটিংয়ের স্মৃতিচারণে লরেন গ্যারি: রবার্ট শ’র প্রতি মুগ্ধতা
সত্তরের দশকের সাড়া জাগানো সিনেমা ‘জস’-এর অভিনেত্রী লরেন গ্যারি সম্প্রতি তার সহ-অভিনেতা রবার্ট শ’র প্রতি মুগ্ধতার কথা প্রকাশ করেছেন।
১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া স্টিভেন স্পিলবার্গ পরিচালিত এই ছবিতে গ্যারি অভিনয় করেছিলেন এলেন ব্রোডি চরিত্রে, যিনি ছিলেন পুলিশ প্রধানের স্ত্রী।
অন্যদিকে, রবার্ট শ’কে দেখা গিয়েছিল কুইন্ট নামক এক চরিত্রে, যিনি ছিলেন ভয়ঙ্কর হাঙরটিকে শিকার করার দায়িত্বে থাকা এক অভিজ্ঞ শিকারি।
গ্যারি জানান, রবার্ট শ ছিলেন শুধু একজন সুদর্শন অভিনেতা নন, বরং একজন অসাধারণ মানুষও ছিলেন।
তিনি বলেন, “আমার চোখে তিনি ছিলেন একজন নাট্যকার, একজন বুদ্ধিজীবী, এবং একজন চমৎকার মানুষ।
তার সান্নিধ্য ছিল সত্যিই দারুণ।”
১৯৭৮ সালে মাত্র ৫১ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রবার্ট শ’র মৃত্যু হয়।
‘জস’ মুক্তি পাওয়ার তিন বছর পরেই তিনি মারা যান।
মারথা’স ভিনইয়ার্ডে ছবিটির শুটিংয়ের সময় তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
গ্যারি বলেন, “আমরা সেখানে মাত্র তিন দিন একসঙ্গে ছিলাম, তখনই আমি তাকে ভালোভাবে জানতে পারি।
পরে ক্যালিফোর্নিয়ায় ফেরার পরও আমাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হতো।”
গ্যারি জানান, একবার তার ছেলের চিকেন পক্স হয়েছিল।
রবার্ট শ-ই প্রথম সেটি বুঝতে পেরেছিলেন।
কারণ, তার নিজের ১২ জন সন্তান ছিল এবং তিনি এই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে ভালো জানতেন।
লরেন গ্যারি ১৯৭৯ সালে অভিনয় জগৎ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
এর আগে তিনি ‘১৯৪১’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
পরে ১৯৮৭ সালে ‘জস: দ্য রিভেঞ্জ’ ছবিতে তিনি এলেন ব্রোডি চরিত্রটি পুনরায় করেন।
‘জস’ ছিল স্পিলবার্গের প্রথম দিকের সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
সিনেমাটির প্রযোজনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে গ্যারি জানান, তার স্বামী সিড শেইনবার্গ, যিনি সে সময় ইউনিভার্সালের প্রধান ছিলেন, তিনিই স্পিলবার্গকে এই ছবিতে কাজ করার সুযোগ করে দেন।
গ্যারি আরও জানান, তার স্বামীই প্রথম ‘জস’ নির্মাণের কথা জানান।
এমনকি, তার এজেন্ট কোনো অডিশন ছাড়াই তাকে এই চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন।
গ্যারি বলেন, “স্টিভেন আমার কাজ পছন্দ করতেন, এবং এটাই ছিল যথেষ্ট।”
‘জস’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় অনেক প্রতিকূলতা দেখা দিয়েছিল।
আটলান্টিক মহাসাগরে ছবিটির শুটিং করতে গিয়ে প্রায় ১০০ দিন বেশি সময় লেগেছিল।
এমনকি, ছবিটির মেকানিক্যাল হাঙ্গরও অনেক সময় কাজ করত না।
এসব কারণে স্পিলবার্গ বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।
তবে গ্যারির স্বামী সিড শেইনবার্গ সবসময় আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।
তিনিই অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে স্পিলবার্গের প্রতিভা কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
গ্যারি জানান, তার স্বামীর কারণেই সিনেমাটি একসঙ্গে ৪০০ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়, যা সে সময়ে খুব একটা দেখা যেত না।
এই গ্রীষ্মের ব্লকবাস্টার সিনেমাগুলোর ধারণা তিনিই তৈরি করেন।
তথ্য সূত্র: পিপল