ছেলের জন্মের পরেই যেন সব শেষ! হতাশ জ্যাক টেইলার, ভেঙে পড়লেন অভিনেতা

প্রখ্যাত রিয়েলিটি টিভি তারকা জ্যাক্স টেইলর তার ব্যক্তিগত জীবনের কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি, তিনি স্বীকার করেছেন যে তার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে এবং তিনি তার বর্তমান জীবন নিয়ে খুশি নন।

বিষয়টি সামনে আসে যখন তিনি তার স্ত্রী ব্রিটনি কার্টরাইটের সাথে বিচ্ছেদের পর মানসিক চিকিৎসার জন্য একটি ক্লিনিকে ভর্তি হন।

পারিবারিক কলহ এবং মানসিক অশান্তি জ্যাক্সের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি জানিয়েছেন, তার ৪ বছর বয়সী ছেলে ক্রুজ জন্ম নেওয়ার পর থেকেই তিনি যেন আগের মতো সুখী নন।

মূলত, স্ত্রী ব্রিটনির সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি এবং তাদের মধ্যেকার তিক্ততা তাকে হতাশ করেছে। জানা যায়, তাদের সম্পর্কের অবনতির পেছনে অন্যতম কারণ ছিল পরকীয়া এবং পারস্পরিক সন্দেহ।

জ্যাক্স-এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহকর্মীরাও তার এই কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন। তারা তাকে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সাহায্য নিতে উৎসাহিত করেন।

বন্ধুদের পরামর্শে, জ্যাক্স একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে (rehabilitation center) যান, যেখানে তিনি মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সেখানে তিনি ৩০ দিন ছিলেন এবং মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চিকিৎসা চালিয়ে যান।

চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়ার আগে ব্রিটনি এবং জ্যাক্সের মধ্যে তীব্র বিতর্ক হয়। ব্রিটনি অভিযোগ করেন, জ্যাক্স তার প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করেছেন এবং তাদের বিবাহিত জীবনে অনেক খারাপ ঘটনা ঘটেছে।

ব্রিটনি এও জানান যে, তিনি জ্যাক্সের এমন আচরণের কারণে হতাশায় ছিলেন এবং এর জন্য থেরাপিও নিতে হয়েছে।

চিকিৎসারত অবস্থায়, জ্যাক্স তার মাদক ব্যবহারের কথা স্বীকার করেন। জানা যায়, তিনি কোকেন নিতেন।

বর্তমানে, তিনি মাদক এবং অ্যালকোহল থেকে ১৩৯ দিন দূরে আছেন।

এই ঘটনার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য এবং মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্ব আরও একবার স্পষ্ট হয়। জ্যাক্স-এর এই সংগ্রামের গল্প আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *