বিখ্যাত আমেরিকান কমেডিয়ান এবং ‘দ্য টুনাইট শো’-এর প্রাক্তন উপস্থাপক, জে লিনো, তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য জীবন কাটানোর পর, ম্যভিস লিনো নামক তার স্ত্রীর ডিমেনশিয়া ধরা পড়লে, তিনি তার দেখাশোনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
ভালোবাসার গভীরতা এবং বিবাহিত জীবনের অঙ্গীকারবদ্ধতার এক বিরল দৃষ্টান্ত হিসেবে, লিনোর এই পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
প্রায় এক বছর আগে, ম্যভিসের স্বাস্থ্যগত অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে, লিনো তার আইনি অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেন। এর মাধ্যমে তিনি ম্যভিসের সম্পদের ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি তার ভবিষ্যৎ যত্নের বিষয়টিও নিশ্চিত করেন।
এই কঠিন সময়ে, লিনো তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ রেখেছেন, যা বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে পরিবার এবং বয়স্কদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের ধারণাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
লিনো সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, বিবাহিত জীবনের অঙ্গীকার তিনি কিভাবে রক্ষা করছেন। তিনি বলেন, “বিয়ের সময় আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিই, তা রক্ষার আসল পরীক্ষা আসে কঠিন সময়ে। আমি কখনোই ম্যভিসকে ছেড়ে যাইনি, বরং তার সঙ্গেই আছি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি তাকে খাওয়াই, তার দেখাশোনা করি, এবং একসঙ্গে টিভি দেখি। আগে যা করতাম, এখনো তাই করি, শুধু এখন দায়িত্বটা বেড়েছে।”
লিনো বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, কিভাবে তিনি এই পরিস্থিতিতেও হাসি খুঁজে নেন। ডিমেনশিয়া আক্রান্ত স্ত্রীর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো মাঝে মাঝে বেশ মজার হয়ে ওঠে।
স্মৃতি কার্ডের মাধ্যমে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করেন তারা, যা তাদের মধ্যে আনন্দ তৈরি করে। তিনি বলেন, “আমি তাকে বলি, ‘এই ছবিতে দেখ, এটা তো প্রেসিডেন্ট ওবামা। আমাদের ডিনার হয়েছিল মনে আছে?’ ম্যভিস তখন উত্তর দেয়, ‘ওহ, আমি তো ছিলাম না!’”
লিনো আরও জানান, ভালোবাসার আসল অর্থ হলো, কঠিন সময়ে পাশে থাকা। তিনি বলেন, “আমি ভালোবেসেছিলাম, তাই কঠিন সময়ে পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটাই ভালোবাসার আসল রূপ। আমি খুশি যে, আমি পালিয়ে যাইনি।”
উল্লেখ্য, জে লিনো এবং ম্যভিসের বিবাহিত জীবন প্রায় ৪৫ বছর ধরে স্থায়ী হয়েছে। তাদের এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন ভালোবাসার গভীরতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তথ্য সূত্র: পিপল