যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর জেডি ভেন্সের সঙ্গে সম্প্রতি ভ্যাটিকানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমস্যা, বিশেষ করে যুদ্ধ ও অভিবাসন বিষয়ক নীতি নিয়ে তাদের মধ্যে মত বিনিময় হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার ভ্যাটিকানে কার্ডিনাল পিয়েরো পারোলিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভেন্স। এছাড়াও, আর্চবিশপ পল গ্যালাঘারের সঙ্গেও তার কথা হয়।
ভ্যাটিকান থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আলোচনাটি ছিল আন্তরিক পরিবেশে। এই সময় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর পরিস্থিতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মানবিক সংকট নিয়ে আলোচনা হয়।
শরণার্থীদের সমস্যা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপন করা হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠকের মাধ্যমে ভ্যাটিকান যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে। কারণ, অভিবাসন নীতি এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য কমানোর বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির প্রতি ভ্যাটিকানের উদ্বেগ রয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিসও অভিবাসন প্রশ্নে তার উদ্বেগের কথা বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, জেডি ভেন্স ২০১৯ সালে ক্যাথলিক ধর্মে দীক্ষিত হন। তিনি রক্ষণশীল কিছু ক্যাথলিক চিন্তাধারার অনুসারী হিসেবে পরিচিত, যারা অনেক সময় ‘পোস্ট-লিবারেল’ হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন।
এই গোষ্ঠীর সদস্যরা মনে করেন, সরকার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত।
ভ্যাটিকানের সঙ্গে বৈঠকের আগে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন ভেন্স। তিনি ইস্টার উইকেন্ড উপলক্ষে পরিবারের সঙ্গে ইতালিতে ছিলেন এবং সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় গুড ফ্রাইডের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অন্যদিকে, পোপ ফ্রান্সিসও বিভিন্ন সময়ে অভিবাসন নীতি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি মনে করেন, অভিবাসন নীতির কারণে অনেক মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এমনকি, মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে তিনি এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান