যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে (Washington, DC) ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছেন দেশটির বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ এক কর্মকর্তা। এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া শীর্ষ সরকারি কৌঁসুলি জেনিন পিরো’র (Jeanine Pirro) কর্মপদ্ধতি নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। খবরটি প্রকাশ করেছে সিএনএন (CNN)।
ওয়াশিংটন ডিসির ইহুদি জাদুঘরের বাইরে গত সপ্তাহে ২৬ বছর বয়সী সারা মিলগ্রিম (Sarah Milgrim) এবং ৩০ বছর বয়সী ইয়ারন লিশিনস্কিকে (Yaron Lischinsky) গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করেন জেনিন পিরো। এই ঘটনার তদন্তের শুরু থেকে তাঁর পদক্ষেপগুলো বেশ মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। অনেকেই মনে করছেন, এই ঘটনা তাঁর নতুন পদে কাজের প্রথম বড় পরীক্ষা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, জেনিন পিরোর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ধরন তাঁদের ভালো লেগেছে। এর আগে, তাঁর পূর্বসূরি এড মার্টিনের (Ed Martin) বিতর্কিত কাজকর্মের কারণে অনেক সময় কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিত। মার্টিন বিভিন্ন সময় ডেমোক্রেটিক দলের সদস্য ও উদারপন্থী দলগুলোর বিরুদ্ধে তদন্তের হুমকি দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। তবে পিরোর বর্তমান কাজের ধরন কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বস্তি এনেছে।
জেনিন পিরো এর আগে দীর্ঘদিন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। এই ঘটনার পর তিনি সরাসরি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বললেও, তাঁর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তিনি অপরাধ দমনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন এবং এই ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবেন।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে এলিয়াস রড্রিগেজকে (Elias Rodriguez) চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণা-অপরাধ (hate crime) অথবা সন্ত্রাসবাদের (terrorism) অভিযোগ আনা হতে পারে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তাঁর মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
তবে, এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া বেশ কঠিন হতে পারে। কারণ, ওয়াশিংটন ডিসি সাধারণত উদারপন্থী শহর হিসেবে পরিচিত এবং এখানে মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠিন সাজার বিরোধিতা করার প্রবণতা রয়েছে।
এই ঘটনার তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে, জেনিন পিরোসহ বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা এই মামলার প্রতিটি দিক গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন এবং দ্রুততম সময়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
তথ্য সূত্র: সিএনএন (CNN)