স্বামী জ্যাকে’র সাথে দাম্পত্য জীবন নিয়ে মুখ খুললেন জেন অ্যাফ্লেক!

বিবাহিত জীবন: কিভাবে সম্পর্ককে মজবুত রাখবেন?

আজকের যুগে, যখন ব্যস্ততা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তখন দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। পরিবার এবং সম্পর্কের গুরুত্ব অনুধাবন করে, অনেকেই তাদের বিবাহিত জীবনকে আরও সুন্দর ও সুখী করতে চান।

সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত মুখ জেন অ্যাফ্লেক, যিনি তার পরিবারকেন্দ্রিক জীবনযাত্রা নিয়ে আলোচনা করে খ্যাতি অর্জন করেছেন, বিবাহিত জীবন সম্পর্কে কিছু মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন।

জেন অ্যাফ্লেক, যিনি বর্তমানে ২৬ বছর বয়সী এবং দুই সন্তানের মা, তার স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি অনুসরণ করেন। তিনি মনে করেন, সম্পর্কের প্রতি মনোযোগ এবং সময় দেওয়া অপরিহার্য।

জেন বলেন, “যেখানে আমাদের মনোযোগ যায়, সেখানেই আমাদের শক্তি প্রবাহিত হয়। বিবাহিত জীবন হোক বা সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক, কোনোটিতেই প্রচেষ্টা না করলে, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন।”

জেন এবং তার স্বামী, জ্যাক অ্যাফ্লেক, তাদের বিবাহিত জীবনকে একটি অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করেন। তারা নিয়মিতভাবে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তাদের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করেছেন। জেনের মতে, “এটি একটি ফুল-টাইম কাজের মতো, তবে আমি এতে গর্বিত।”

তাদের পরিবার, বিশেষ করে তাদের দুই সন্তান, ২ বছর বয়সী লুকাস এবং ৩ বছর বয়সী নোরা, তাদের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। জেন মনে করেন, “সুযোগ আসবে যাবে, কিন্তু পরিবারই সবার আগে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “পরিবার সবসময় পাশে থাকে। দিনের শেষে, আমার কাছে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি সবসময় আমার সন্তানদের এবং সম্পর্কের দিকে ফিরে যাই। সুযোগ আসবে, চলেও যাবে, কিন্তু পরিবার সবসময় থাকবে।”

জেন তার ব্যক্তিগত জীবনে কিভাবে কাজ ও পরিবারের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করেন, সে সম্পর্কেও কথা বলেছেন। ব্যস্ত জীবন সত্ত্বেও, তিনি নতুনত্বকে গ্রহণ করতে ভালোবাসেন এবং বাড়িতে বসে “ডার্টি সোডা” তৈরি করেন।

“ডার্টি সোডা” হলো কাস্টমাইজড সোডা পানীয়, যা স্বাদযুক্ত সিরাপ বা ফল যোগ করে তৈরি করা হয়। জেন বলেন, “আমি যেমন বাড়িতে কফি বানাতে পছন্দ করি, তেমনি অনেকে বাড়িতে ডার্টি সোডা তৈরি করতে পছন্দ করে।

আমার মতো ব্যস্ত বাবা-মায়ের জন্য বা যারা ঘর থেকে বের না হয়ে মজাদার কিছু পান করতে চান, তাদের জন্য এটি উপযুক্ত।”

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, পরিবার এবং সম্পর্কের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের সমাজে, বিবাহিত জীবনকে সুখী করতে একে অপরের প্রতি যত্নশীল হওয়া, সময় দেওয়া এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জেন অ্যাফ্লেকের এই পরামর্শগুলো আমাদের সমাজের মানুষের জন্য বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক।

জেন অ্যাফ্লেকের এই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা শিখতে পারি যে, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য সম্পর্কের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, পরিবারের সদস্যদের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং একসঙ্গে সময় কাটানো অপরিহার্য।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *