বিখ্যাত অভিনেত্রী জেনিফার কুলিজ সম্প্রতি তাঁর পুরনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোস্টনের এমर्सन কলেজে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি নবাগত গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন।
কুলিজ তাঁর বক্তব্যে জীবনের লক্ষ্য অর্জনে আত্মবিশ্বাসের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং অসম্ভবকে সম্ভব করার মানসিকতার উপর জোর দেন।
কুলিজ তাঁর শৈশবের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। ছোটবেলায় স্কুলে একটি প্রতিযোগিতায় তিনি অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে তিনি দৌড়ের সময় নিয়ম ভেঙে ফেলেন এবং পরে অযোগ্য ঘোষিত হন। এই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তখন তিনি খুবই হতাশ হয়েছিলেন এবং নিজেকে নিয়ে বিব্রত বোধ করতে শুরু করেছিলেন।
তবে এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা লাভ করেন। তিনি বুঝতে পারেন, জীবনের পথে নিজস্ব পথ তৈরি করতে হয় এবং অন্যের কথায় কান না দিয়ে নিজের লক্ষ্যের দিকে অবিচল থাকতে হয়।
কুলিজ গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, “জীবনে তোমরা যা করতে চাও, সেই কাজটি করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ো। নিজেদের মধ্যে এমন একটি মানসিকতা তৈরি করো, যেখানে অসম্ভবকেও সম্ভব বলে মনে হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “অন্যদের কথায় মন খারাপ না করে, নিজের ভেতরের কণ্ঠস্বর শোনো এবং নিজেদের স্বপ্নের পথে অবিরাম এগিয়ে চলো।”
অভিনেত্রী তাঁর বক্তব্যে নিজের অভিনয় জীবনের শুরুর দিকের কথা উল্লেখ করেন। একসময় তিনি অভিনয়ের সুযোগের জন্য কতৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, অনেকবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। তবে তিনি হাল ছাড়েননি।
কঠোর পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসের জোরে তিনি অবশেষে সফলতা অর্জন করেন। তাঁর অভিনীত ‘হোয়াইট লোটাস’ (The White Lotus) টিভি সিরিজটি তাঁকে এনে দেয় আকাশচুম্বী খ্যাতি। এই কাজের জন্য তিনি দুটি প্রাইমটাইম এমি অ্যাওয়ার্ড এবং একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারও লাভ করেন।
জেনিফার কুলিজ তাঁর বক্তব্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, জীবনে উত্থান-পতন থাকবেই, কিন্তু সেই সময় হতাশ না হয়ে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।
সবার কথা শুনে বিভ্রান্ত না হয়ে, নিজের ভেতরের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জীবন নামক এই কঠিন পথে, নিজের পথ নিজেকেই খুঁজে নিতে হয়।
তথ্যসূত্র: পিপল ম্যাগাজিন।