মা হওয়ার পর মেলিন্ডা গেটসকে নিয়ে জেনিফার গেটসের আবেগঘন উপলব্ধি!

মেয়ে হওয়ার পর মা মেলিন্ডা গেটসের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ জেনিফার গেটসের

মা হওয়ার পর যেন নতুন করে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জেগেছে জেনিফার গেটসের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের এই অনুভূতির কথা জানান তিনি। বর্তমানে ২৯ বছর বয়সী জেনিফার একজন পেডিয়াট্রিক রেসিডেন্ট, পাশাপাশি মা ও বটে।

মা হওয়ার পর শিশুদের মানুষ করা এবং তাদের প্রতিপালনের বিষয়টি তিনি নতুন করে উপলব্ধি করতে পারছেন।

জেনিফার বলেন, “আমি এখন সরাসরি দেখছি, একটি সন্তানকে মানুষ করা কতটা কঠিন এবং একইসাথে আনন্দদায়ক হতে পারে।” বিশেষ করে বর্তমান সময়ে যখন বাবা-মায়েরা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পান না, তখন আমার মা কিভাবে সবকিছু সামলেছেন, তা ভেবে অবাক হই।

তিনি আরও যোগ করেন, “আমার নিজেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে, তবে মায়ের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে।”

জেনিফার, বিল গেটস এবং মেলিন্ডা গেটসের মেয়ে। ২০২১ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর জেনিফার ও নায়েল নাসারের ঘর আলো করে আসে দুই সন্তান, যাদের একজন জন্ম নেয় ২০২৩ সালের মার্চে এবং অন্যজন ২০২৪ সালের অক্টোবরে।

জেনিফার জানান, তার মা মেলিন্ডা গেটস নাতি-নাতনিদের খুবই ভালোবাসেন।

তিনি বলেন, “আমার সন্তানদের প্রতি মায়ের ভালোবাসা ও উদারতা দেখে আমি মুগ্ধ। মা যেভাবে আমাদের ভালোবেসেছেন, আমি যদি তার সিকি ভাগও আমার সন্তানদের দিতে পারি, তবে নিজেকে সফল মনে করব।

সম্প্রতি প্রকাশিত আত্মজীবনী ‘দ্য নেক্সট ডে: ট্রানজিশনস, চেঞ্জ, অ্যান্ড মুভিং ফরওয়ার্ড’-এ মেলিন্ডা গেটস মাইক্রোসফটে তার দীর্ঘদিনের চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলেছেন।

জেনিফার জানান, মা তাকে সবসময় তার পথে অবিচল থাকতে উৎসাহিত করেছেন।

মেডিকেল স্কুলে থাকাকালীন সময়ে তার মনে হয়েছিল, এটি জীবনের সেরা যাত্রা। তবে তিনি একইসাথে মা হওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

জেনিফার বলেন, “আমরা এমন একটি অবস্থানে ছিলাম যেখানে আমরা একটি পরিবার শুরু করার সামর্থ্য রাখতাম।” তাই আমি মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কিন্তু একইসঙ্গে একজন বোর্ড-সার্টিফাইড শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হওয়ারও ইচ্ছা ছিল।

তিনি আরও যোগ করেন, “এই পথটি সহজ ছিল না, তবে আমার চারপাশে অনেক সহায়ক মানুষ ছিল, যার কারণে আমি হাসপাতালে যেতে পারতাম এবং জানতাম আমার সন্তানদের ভালোভাবে দেখাশোনা করা হচ্ছে।

আমি উভয় কাজই করতে পেরে কৃতজ্ঞ। আমার মায়ের পথ থেকে এটি ভিন্ন, তবে তিনি সবসময় আমাকে আমার স্বপ্ন অনুসরণ করতে এবং একই সাথে মা হতে উৎসাহিত করেছেন।

বর্তমানে রেসিডেন্সি করাটা কঠিন হলেও ভালো লাগছে বলে জানান জেনিফার।

তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যখাতে কাজ করা প্রত্যেককে আমি সম্মান করি, তবে রেসিডেন্সি খুবই কঠিন একটি প্রশিক্ষণ।” আমি আমার হাসপাতালের রোগী এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের সেবা করতে পেরে আনন্দিত।

আমি শিশুদের রোগ এবং তাদের চিকিৎসার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারছি, যা তাদের ভালো রাখতে সাহায্য করে।

আমি আশা করি, ভবিষ্যতে আমি আমার সময় ও কর্মজীবনের মাধ্যমে শিশুদের এবং তাদের পরিবারের জন্য আরও বেশি কিছু করতে পারব।

তথ্য সূত্র: পিপল ম্যাগাজিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *