মা হওয়ার পর ‘ভিনগ্রহের মতো’ অনুভব করেছিলেন জেনিফার লরেন্স!

নতুন মা হওয়ার পর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স। সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর নতুন ছবি ‘ডাই, মাই লাভ’ -এর প্রিমিয়ারে যোগ দেন তিনি।

ছবিতে এক মানসিক অবসাদগ্রস্ত মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন লরেন্স, যিনি সন্তান জন্ম দেওয়ার পর একাকিত্ব অনুভব করেন। বাস্তব জীবনেও অভিনেত্রী মা হওয়ার পর একই ধরনের মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন।

২০২২ সালে প্রথম সন্তানের জন্ম দেন জেনিফার লরেন্স। এরপর তিনি অনুভব করেন, প্রসব পরবর্তী সময়ে মহিলাদের একাকিত্ব গ্রাস করে। এই সময়ে মানসিক উদ্বেগ ও হতাশায় ভোগেন অনেকে।

লরেন্স জানান, এই অনুভূতি এতটাই তীব্র ছিল যে, তাঁর মনে হত যেন তিনি ‘ভিনগ্রহের প্রাণী’।

ছবিতে জেনিফার লরেন্সের স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রবার্ট প্যাটিনসন। তিনিও জানান, তাঁর চরিত্রটি স্ত্রীর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন।

বিশেষ করে প্রসব পরবর্তী সময়ে স্ত্রীর একাকিত্বের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং তাঁদের সম্পর্কের ভূমিকাগুলো খুঁজে বের করা কঠিন ছিল। অভিনেতা মনে করেন, এই ধরনের সমস্যাগুলো সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।

‘ডাই, মাই লাভ’ ছবিটি আর্জেন্তিনার লেখিকা আরিয়ানা হারউইজের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছে। ছবিটির পরিচালক লিন র‍্যামসে।

এর আগে তিনি ২০১১ সালে ‘উই নিড টু টক অ্যাবাউট কেভিন’ ছবিটি তৈরি করেছিলেন, যা মা ও সন্তানের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছিল।

জেনিফার লরেন্স মনে করেন, মা হওয়ার পর তাঁর অভিনয় ক্ষমতা বেড়েছে, কারণ তিনি এখন অনেক বেশি আবেগ অনুভব করতে পারেন। তাঁর মতে, অভিনেতা হতে চাইলে অবশ্যই শিশুদের জন্ম দেওয়া উচিত।

বাংলাদেশেও অনেক নারী প্রসব পরবর্তী সময়ে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। অনেক সময় সামাজিক চাপ, পরিবারের সমর্থন ও সচেতনতার অভাবে তাঁরা একাকিত্ব অনুভব করেন।

এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *