জেनिফার লোপেজ: কর্মজীবী মা হিসেবে অনুশোচনা, সন্তানদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের স্মৃতিচারণ।
বিশ্বজুড়ে পরিচিত সঙ্গীতশিল্পী এবং অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজ সম্প্রতি তার কর্মজীবনের পাশাপাশি মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন। স্প্যানিশ সংবাদপত্র ‘এল পাইস’-এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, যখন তার যমজ সন্তান এম্মে এবং ম্যাক্স ছোট ছিল, তখন কর্মজীবী মা হিসেবে তিনি যে অনুশোচনা অনুভব করতেন, সে সম্পর্কে।
বর্তমানে তাদের বয়স সতেরো বছর।
লোপেজ বলেন, “আমি যখন কাজ করতাম, তখন তারা হয়তো আমার কাছ থেকে তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সময় পায়নি। একজন কর্মজীবী মা হিসেবে এই গিল্ট বা অপরাধবোধ সবসময় থাকে। মনে হয়, ‘আমার আরও বেশি সময় দেওয়া উচিত ছিল। আমার একেবারেই বাইরে যাওয়া উচিত হয়নি। বরং বাড়িতেই থাকা উচিত ছিল।’”
তবে, লোপেজ যোগ করেন, “তাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং একজন মা হিসেবে আমি সবসময় আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।” তিনি আরও বলেন, “এখন যখন ফিরে তাকাই, তখন মনে হয়, এটা একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল।
আমি আনন্দিত যে আমি তাদের সারা বিশ্ব ঘুরাতে পেরেছি। তারা আমার সঙ্গে ট্যুরে যেত, ‘আমেরিকান আইডল’-এর সেটেও তারা আমার সঙ্গে ছিল।”
সম্প্রতি, ‘দ্য বয় নেক্সট ডোর’ খ্যাত এই অভিনেত্রী তার মেয়ে এম্মের সঙ্গে নিউইয়র্ক সিটির ব্যারিmore থিয়েটারে ডেঞ্জেল ওয়াশিংটন ও জ্যাক গিলেনহাল অভিনীত ‘ওথেলো’ নাটকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
মা ও মেয়ের সাজপোশাকে ছিল গভীর মিল। লোপেজ পরেছিলেন জুহাইর মুরাদের ডিজাইন করা নেভি ব্লু রঙের পোশাক, যেখানে ঝলমলে পাথর বসানো ছিল।
এর সঙ্গে তিনি পরেছিলেন কালো রঙের একটি কোট এবং রুপালি কানের দুল। অন্যদিকে, এম্মে পরেছিলেন সাদা-কালো পিনস্ট্রাইপ স্যুট এবং পায়ে ছিল লোফার।
লোপেজ তার যমজ সন্তানের সতেরোতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগপূর্ণ ভিডিও পোস্ট করেছেন।
ভিডিওটিতে তাদের পরিবারের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ছিল। এর মধ্যে ছিল টায়ার সুইং-এ তাদের ছবি তোলার দৃশ্য, ব্যাকস্টেজে সন্তানদের সঙ্গে আলিঙ্গন এবং একটি রেস্টুরেন্ট বুথে তাদের সেলফি তোলার মুহূর্ত।
ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “সতেরো! আমি তোমাদের ভালোবাসি, চিরকাল।”
জেনিফার লোপেজের এই সাক্ষাৎকার কর্মজীবী মায়েদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হতে পারে।
কারণ, এতে একদিকে যেমন কর্মজীবনের চাপ, তেমনি সন্তানদের প্রতি ভালোবাসার গভীরতা ফুটে উঠেছে। একজন মা হিসেবে সন্তানদের ভালো রাখার জন্য তার সংগ্রামের কথা অনেকের কাছেই পরিচিত।
তথ্যসূত্র: এল পাইস