গত বছর, অভিনেতা জেরেমি রেনার ভয়ানক এক দুর্ঘটনায় আহত হন, যখন তার নিজের বরফ সরানোর যন্ত্রের নিচে চাপা পড়ে যান। সৌভাগ্যক্রমে, তিনি সেই যাত্রায় জীবন ফিরে পান এবং ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এই ঘটনার পর শরীরে অস্ত্রোপচার করতে হয়, যার ফলে তার বুকে এবং একটি পায়ে টাইটানিয়াম প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। সম্প্রতি, নিজের নতুন স্মৃতিচারণমূলক বই ‘মাই নেক্সট ব্রেথ’-এর প্রকাশ উপলক্ষে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা এই অভিজ্ঞতার কথা জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সংস্থা টিএসএ (TSA – Transportation Security Administration)। জেরেমি রেনার জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে অবগত এবং তাকে সহযোগিতা করেন।
সাধারণত, ধাতব বস্তু শরীরে থাকলে নিরাপত্তা স্ক্যানারে বিপত্তি ঘটে। এক্ষেত্রে, টিএসএ কর্মীরা বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, যাতে স্ক্যানিং প্রক্রিয়াটি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়।
জেরেমি রেনার বলেন, “আমি বিমানবন্দরের যাত্রী নই, কিন্তু আমার তেমন কোনো সমস্যা হয় না।” এই ঘটনার পর নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তিনি বেশ ইতিবাচক।
অভিনেতা জানান, শরীরের ফোলা গোড়ালি, মাঝে মাঝে বেঁকে যাওয়া কোমর কিংবা চোয়ালের সঠিক কামড় দিতে সমস্যা—এগুলো তাকে সেই কঠিন দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়, যা তাকে আজকের অবস্থানে এনেছে।
টিএসএ কর্তৃপক্ষের মতে, কোনো যাত্রীর শরীরে অস্ত্রোপচারের কারণে ধাতব উপকরণ থাকলে, নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় টিএসএ অফিসারকে সে বিষয়ে অবহিত করা উচিত। শারীরিক অক্ষমতা, চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা অথবা বিশেষ কোনো প্রয়োজনে টিএসএ-কে আগে থেকে জানানোর সুযোগ রয়েছে।
এক্ষেত্রে, টিএসএ’র বিশেষ ‘নোটिफिकेशन কার্ড’ অথবা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে টিএসএ প্রিচেক (TSA PreCheck) নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থা চালু আছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপত্তা পরীক্ষার প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।
এই প্রোগ্রামের আওতায়, জুতা, ল্যাপটপ, তরল পদার্থ অথবা হালকা জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায়ও স্ক্যানিং সম্পন্ন করা যায়। তবে, শরীরের ভেতরে কোনো ধাতব বস্তু থাকলে, এই প্রক্রিয়ার পরিবর্তে টিএসএ অফিসাররা ম্যানুয়ালি পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন।
সাধারণভাবে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাত্রীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশেও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিধানে বিভিন্ন নিয়মকানুন অনুসরণ করা হয়।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে, শরীরের ভেতরে ধাতব প্রতিস্থাপন অথবা অন্য কোনো চিকিৎসা সরঞ্জাম থাকলে, নিরাপত্তা কর্মীদের সে বিষয়ে জানানো জরুরি। এর ফলে, নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয় এবং ভ্রমণকারীরা নির্বিঘ্নে তাদের যাত্রা সম্পন্ন করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল এন্ড লেজার