আর্টের প্রেক্ষাপট থেকে উঠে আসা এক কিংবদন্তি: প্রয়াত জিম ডেন্ট
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা অঙ্গরাজ্যের অগাস্টা শহরে এক সময় ক্যাডি হিসেবে কাজ শুরু করা জিম ডেন্ট, যিনি পরবর্তীতে গল্ফ খেলার জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিণত হয়েছিলেন। দীর্ঘদেহী এই খেলোয়াড় সম্প্রতি ৮৫ বছর বয়সে মারা গেছেন।
জানা গেছে, মৃত্যুর কিছুদিন আগে তিনি স্ট্রোক করেছিলেন।
জিম ডেন্টের জন্ম হয় অগাস্টার “দ্য প্যাচ” নামে পরিচিত একটি পাবলিক গল্ফ কোর্সের কাছে। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি তার আগ্রহ ছিল।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, গল্ফ খেলা তাকে জীবনে অনেক কিছু শিখিয়েছে, বিশেষ করে সততা ও কঠোর পরিশ্রমের গুরুত্ব।
খেলার প্রতিটি নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয়, যা তাকে সবসময় সঠিক পথে চলতে সাহায্য করেছে।
পেশাদার গল্ফার হওয়ার আগে, তিনি বেশ কয়েকটি ইউনাইটেড গল্ফার্স অ্যাসোসিয়েশন টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন, যা কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের জন্য বিশেষভাবে আয়োজিত হতো।
এরপর তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যান এবং প্রাক্তন ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন জনি গুডম্যানের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন।
১৯৭০ সালে তিনি পিজিএ ট্যুর কার্ড অর্জন করেন। যদিও তিনি কোনো টুর্নামেন্ট জিততে পারেননি, তবে পরবর্তী ১৬ বছর নিয়মিতভাবে অন্তত ২২টি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৭২ সালের ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড ওপেন ইনভাইটেশনাল-এ তিনি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
১৯৭৪ সালে জিম ডেন্ট প্রথম ওয়ার্ল্ড লং ড্রাইভ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন। খেলোয়াড় হিসেবে তার অসাধারণ দক্ষতার কারণে তিনি পরিচিত ছিলেন।
দীর্ঘ দূরত্বে বল মারার ক্ষমতা তাকে বিশেষ খ্যাতি এনে দেয়।
৫০ বছর বয়স পার হওয়ার পর তিনি পিজিএ ট্যুর চ্যাম্পিয়ন্স-এ ১২টি খেতাব জিতেছিলেন।
তাঁর সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ, অগাস্টা ন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ “দ্য প্যাচ”-এ প্রবেশের রাস্তাটির নাম “জিম ডেন্ট ওয়ে” রাখে।
এমনকি তাকে ক্যাডি হল অফ ফেইম-এও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বর্তমানে তার ছেলে জিম ডেন্ট জুনিয়র “দ্য প্যাচ”-এর প্রধান পেশাদার হিসেবে কর্মরত আছেন।
“দ্য প্যাচ”-এর উন্নয়নে অগাস্টা ন্যাশনাল কর্তৃপক্ষের সমর্থন রয়েছে।
বিখ্যাত স্থপতি টম ফাজিও এবং বিউ ওয়েলিং এই মাঠের ডিজাইন করছেন।
এখানে একটি নতুন শর্ট-গেম এরিয়া এবং ক্লাবহাউস তৈরি করা হবে।
এছাড়া, টাইগার উডস এখানে একটি পার-৩ কোর্স ডিজাইন করছেন, যা “দ্য প্যাচ”-এর ক্যাডিদের উৎসর্গীকৃত হবে।
জিম ডেন্টের জীবন ও কর্ম গল্ফ খেলার জগতে এক অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান