যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব জিমি কিমেলের অনুষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে এবিসি। কমেডি এবং রাজনৈতিক ব্যঙ্গাত্মক রসবোধের মিশেলে পরিচিত কিমেলের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে মূল কারণ হিসেবে জানা যায়, সম্প্রতি তিনি একজন রক্ষণশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন।
কিমেলের উত্থান: রেডিও থেকে খ্যাতির শিখরে। জিমি কিমেলের কর্মজীবন শুরু হয়েছিল লাস ভেগাসের স্থানীয় রেডিও স্টেশনগুলোতে।
এরপর তিনি কমেডি জগতে প্রবেশ করেন এবং দ্রুত পরিচিতি লাভ করেন। “উইন বেন স্টেইন’স মানি” নামক কমেডি শোতে তাঁর কাজ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
পরবর্তীতে “দ্য ম্যান শো” এর মতো অনুষ্ঠানে কাজ করে তিনি একজন সফল প্রযোজক হিসেবেও পরিচিত হন। ২০০৩ সালে এবিসি নেটওয়ার্কে “জিমি কিমেল লাইভ!” অনুষ্ঠানটি শুরু হওয়ার পর তিনি রাতারাতি আলোচনায় আসেন।
“জিমি কিমেল লাইভ!” অনুষ্ঠানটি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। হাস্যরস, সেলিব্রিটিদের নিয়ে মজার ঘটনা এবং রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তাঁর তীক্ষ্ণ মন্তব্য দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
শুধু তাই নয়, কিমেল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে উপস্থাপকের দায়িত্বও পালন করেছেন, যার মধ্যে অস্কার এবং এমি অ্যাওয়ার্ডস অন্যতম।
গত সপ্তাহে, কিমেল তার অনুষ্ঠানে রক্ষণশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চার্লি ক্রিককে নিয়ে একটি মন্তব্য করেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় এবিসি’র দুটি প্রধান সহযোগী প্রতিষ্ঠান তাদের স্টেশন থেকে “জিমি কিমেল লাইভ!” সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়।
এরপর, ব্যাপক সমালোচনার মুখে এবিসি অনির্দিষ্টকালের জন্য অনুষ্ঠানটি স্থগিত করতে বাধ্য হয়।
কিমেল দীর্ঘদিন ধরে এবিসির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেছেন।
তাঁর অনুষ্ঠানটি নেটওয়ার্কটিকে দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে ধরে রাখতে সাহায্য করেছে। বিভিন্ন তারকা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল এবং এর মাধ্যমে তিনি দর্শকদের কাছে পরিচিতি লাভ করেন।
কিমেলের অনুষ্ঠানটি এবিসি-কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টেও পরিচিতি এনে দিয়েছে।
কিমেলের এই বিতর্কিত মন্তব্যের পর তাঁর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
তাঁর সঙ্গে এবিসির চুক্তি ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এখন দেখার বিষয়, “জিমি কিমেল লাইভ!” আবার ফিরে আসে কিনা অথবা তিনি অন্য কোনো মাধ্যমে কাজ শুরু করেন কিনা।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস