হলিউডের জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘দ্য লাস্ট অফ আস’-এর অভিনেতা পেড্রো প্যাসকালের পরা জ্যাকেটটি নিয়ে সম্প্রতি বেশ আলোচনা চলছে। বিশেষ করে, যারা একটু রুক্ষ ও মজবুত ধাঁচের পোশাক পছন্দ করেন, তাদের কাছে এই জ্যাকেটটি দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে।
আসল ঘটনা হলো, ‘হাকবেরি ফ্লিন্ট অ্যান্ড টিন্ডার ফ্লানেল লাইন্ড ওয়াক্সড ট্রাকার জ্যাকেট’ নামের এই পোশাকটি শুধু দেখতেই আকর্ষণীয় নয়, বরং এর গুণাগুণও অনেক।
চলুন, এই জ্যাকেটটির কিছু বিশেষত্ব ও আমাদের দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে এর উপযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
এই জ্যাকেটটির মূল আকর্ষণ হলো এর মজবুত ক্যানভাসের আচ্ছাদন। যা মোমের প্রলেপ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
এর ফলে এটি জলরোধী ও বাতাস প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। ভেতরের দিকে রয়েছে নরম ফ্লানেলের আস্তরণ, যা শীতের দিনে শরীরকে আরামদায়ক উষ্ণতা দেয়।
আমেরিকার তৈরি এই জ্যাকেটটি টেকসই এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর মোমের আস্তরণে নিজস্ব একটা “প্যাটার্ন” তৈরি হয়, যা জ্যাকেটটির সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে।
এই জ্যাকেটের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ করা হলো:
- উপকরণ: ৭ আউন্স ওজনের মোম যুক্ত ক্যানভাস (বহিরাবরণ), ফ্লানেল (ভিতরের আস্তরণ), এবং পলিয়েস্টার (হাতা)।
- ডিজাইন: ক্লাসিক ট্রাকার ডিজাইন, যা বিভিন্ন পোশাকের সঙ্গে মানানসই।
- পকেট: বোতামযুক্ত বুক পকেট, দুটি সাইড পকেট এবং একটি অভ্যন্তরীণ মিডিয়া পকেট রয়েছে।
- নির্মাণশৈলী: উন্নতমানের উপাদান ও কারুকার্য, যা জ্যাকেটটিকে দীর্ঘস্থায়ী করে।
- ব্যবহার: হালকা শীতের পোশাক হিসেবে চমৎকার, যা শহরের সাধারণ জীবন থেকে শুরু করে বাইরের যেকোনো অভিযানে পরার উপযোগী।
তবে, গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য এই জ্যাকেটটি খুব একটা উপযুক্ত নয়। কারণ, এর ক্যানভাস ও ফ্লানেলের কারণে গরমে অস্বস্তি হতে পারে।
এছাড়াও, জলরোধী ক্ষমতা ধরে রাখতে মাঝে মাঝে এর মোম পালিশ করার প্রয়োজন হয়।
এই জ্যাকেটটির দাম ২৯৮ মার্কিন ডলার। বাজারে এর চেয়ে কম দামের বিকল্প পাওয়া গেলেও, এই জ্যাকেটের গুণমান, আরাম ও নকশার দিক থেকে এটি একটি ভালো বিনিয়োগ হতে পারে।
যদি আপনি এমন একটি জ্যাকেট খুঁজেন যা একই সাথে স্টাইলিশ ও কার্যকরী, তাহলে এই ‘হাকবেরি ফ্লিন্ট অ্যান্ড টিন্ডার ফ্লানেল লাইন্ড ওয়াক্সড ট্রাকার জ্যাকেট’ আপনার জন্য একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
হালকা শীতের জন্য এটি খুবই আরামদায়ক। তবে, গরমকালে ব্যবহারের জন্য এটি উপযুক্ত নাও হতে পারে।
তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক