**হলিউডের অভিনেতা জোয়েল ম্যাকহেলের হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট: ১০,০০০ ডলার ব্যয়ের স্বীকারোক্তি**
সৌন্দর্য সচেতনতার যুগে, অভিনেতা এবং সেলিব্রিটিরা প্রায়শই তাদের চেহারা ধরে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। সম্প্রতি, জনপ্রিয় মার্কিন অভিনেতা ও কমেডিয়ান জোয়েল ম্যাকহেল তার হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট নিয়ে মুখ খুলেছেন।
একটি পডকাস্টে তিনি জানান, টাক সমস্যার সমাধানে তিনি চারটি হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করেছেন এবং এর জন্য তার ১০,০০০ ডলার খরচ হয়েছে।
৫৩ বছর বয়সী এই অভিনেতা ‘উই মাইট বি ড্রাঙ্ক’ নামের পডকাস্টে তার এই অভিজ্ঞতার কথা জানান।
ম্যাকহেল বলেন, তিনি যখন এই প্রক্রিয়া শুরু করেন, তখন ‘স্ট্রিপ’ পদ্ধতিটি প্রচলিত ছিল।
এই পদ্ধতিতে মাথার ত্বক থেকে একটি অংশ তুলে নিয়ে চুল প্রতিস্থাপন করা হতো।
ম্যাকহেল এই পদ্ধতিকে বেশ কষ্টকর হিসেবে বর্ণনা করেন এবং এটি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
তবে, সময়ের সাথে সাথে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের পদ্ধতিতেও পরিবর্তন এসেছে।
এখন ‘প্লাকিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে মাথার পেছনের অংশ থেকে চুল নিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়, যা আগের তুলনায় অনেক উন্নত এবং ফলপ্রসূ।
ম্যাকহেল এই নতুন পদ্ধতির প্রশংসা করেন।
পডকাস্টে আলোচনা করার সময়, ম্যাকহেল তুরস্ক থেকে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করানোর প্রবণতা নিয়েও কথা বলেন।
তিনি মজা করে বলেন, তুরস্কের একজন ডাক্তারের নাম তিনি বলতে পারেন, তবে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
কারণ, কম খরচে কাজ করার প্রলোভন দেখা যেতে পারে, কিন্তু মানের সাথে আপোস করা উচিত নয়।
শুধু জোয়েল ম্যাকহেলই নন, আরও অনেক সেলিব্রিটি তাদের হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন।
এর আগে অভিনেতা জন সিনা এবং ড্যাকোটা মরটেনসেনও তাদের হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট নিয়ে কথা বলেছেন।
জন সিনা ডব্লিউডব্লিউই (WWE) এর দর্শকদের দ্বারা উপহাসিত হওয়ার পরে এই পদ্ধতিটি করিয়েছেন।
বর্তমানে, বাংলাদেশেও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের চাহিদা বাড়ছে।
যদিও এই বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই, তবে অনেকেই এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছেন।
এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি।
তথ্য সূত্র: পিপল