ম্যারাথনে ক্লান্ত দেহে: জন বার্নস, জল নিয়ে আসছেন!

লন্ডন ম্যারাথনে দৌড়বিদদের উৎসাহ দিতে প্রস্তুত জন বার্নস।

আসন্ন লন্ডন ম্যারাথনে প্রায় ৫৬ হাজার দৌড়বিদের জন্য বিশেষ একজন অতিথি থাকছেন। তিনি আর কেউ নন, ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলার জন বার্নস।

দৌড়বিদদের ক্লান্তি দূর করতে ২৩ মাইল পয়েন্টে তিনি তাদের হাতে তুলে দেবেন পছন্দের পানীয়।

খেলার মাঠ থেকে অবসর নেওয়ার পরেও খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসার টানেই তার এই অংশগ্রহণ।

শুধু পানীয় বিতরণের মধ্যেই বার্নসের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকবে না।

এই ম্যারাথন যে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে, সে বিষয়েও তিনি তার উপলব্ধির কথা জানান।

এই ইভেন্টটি একই সাথে দাতব্য এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক একটি অসাধারণ উদ্যোগ।

বার্নস

আশির দশকে মাঠ কাঁপানো এই ফুটবলার একসময় ওয়াটফোর্ডের হয়ে দীর্ঘ দূরত্বের দৌড়ে অংশ নিতেন।

খেলোয়াড় জীবনে তিনি ১০ মাইল পর্যন্ত দৌড়তেন নিয়মিত। সেই সুবাদে ম্যারাথনে অংশগ্রহণের একটি সুপ্ত বাসনা তার ছিল।

তবে এখন বয়সের কারণে সরাসরি দৌড়ানো সম্ভব না হলেও, দৌড়বিদদের উৎসাহ দিতে পেরে তিনি আনন্দিত।

খেলাধুলার প্রতি বার্নসের এই ভালোবাসা নতুন নয়।

নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয় স্পোর্টস ড্রিঙ্ক লুসোজাদের বিজ্ঞাপনে তাকে দেখা গিয়েছিল।

সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “তখনকার দিনে বিজ্ঞাপনটিতে আমাকে অনেকটা পাগলা বিজ্ঞানীর মতো দেখাচ্ছিল, চোখে বড় চশমা ও হাতে স্ট্র ছিল।

তবে সেই সময়ে এটাই ছিল আধুনিকতা।

আজও রাস্তায় বের হলে অনেকে আমাকে বলেন, ‘লুসোজা তেষ্টা মেটায় দ্রুত’।“

বার্নসের মতে, বর্তমান সময়ে খেলাধুলার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে, বিশেষ করে নারীদের মধ্যে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এদিকে, বার্নস তার প্রাক্তন ক্লাব লিভারপুলের প্রিমিয়ার লিগ জেতার সম্ভাবনা নিয়েও বেশ আশাবাদী।

তিনি মনে করেন, ১৯৮৭-৮৮ সালের লিভারপুল দলটির মতোই বর্তমান দলের খেলোয়াড়দের দক্ষতা রয়েছে।

আবেগপূর্ণ কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমার সময়ের দলটির লীগ জেতা হয়তো প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু বর্তমান দলের এই সাফল্য অনেক বড়।

ফুটবল মাঠে খেলোয়াড় জীবনের স্মৃতিচারণ করে বার্নস আরও যোগ করেন, “আগে খেলার সময় লুসোজার সঙ্গে মাঝে মাঝে অন্য কিছু মিশিয়ে নিতাম!”

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *