জন এফ. কেনেডি জুনিয়র: এক রাজ পরিবারের উত্তরাধিকারী
ষাটের দশকে, যখন জন এফ. কেনেডি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, ঠিক সেই সময়ে জন্ম হয় জন এফ. কেনেডি জুনিয়রের। তিনি ছিলেন কেনেডি পরিবারের প্রথম সন্তান, যারা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে ছিলেন।
পিতার হাত ধরে রাজনীতিতে আসা এই তরুণের জীবন আজও অনেকের কাছে আগ্রহের বিষয়। সম্প্রতি, তাঁর জীবন নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র মুক্তি পেতে যাচ্ছে, যা তাঁর জীবনের নানা দিক তুলে ধরবে।
জন এফ. কেনেডি জুনিয়রের জন্ম হয় ১৯৬০ সালে। তাঁর বাবা, জন এফ. কেনেডি, ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম রাষ্ট্রপতি।
এই কারণে ছোটবেলা থেকেই জন জনসাধারণের মাঝে পরিচিত ছিলেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পেশাগত জীবন—সবকিছুই ছিল গণমাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
অভিনেত্রী সারা জেসিকা পার্কার এবং ড্যারিল হান্নার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা একসময় সংবাদ শিরোনামে এসেছিল। পরবর্তীতে তিনি ক্যারোলিন বেসেটকে বিয়ে করেন, যিনি ছিলেন একজন ফ্যাশন জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ। তাঁদের বিয়ে হয় ১৯৯৬ সালে।
জন এফ. কেনেডি জুনিয়র, যিনি ‘জন-জন’ নামে পরিচিত ছিলেন, সবসময় জনসাধারণের মাঝে ছিলেন। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমেরিকান ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
পরবর্তীতে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশোনা করেন।
আইন বিষয়ে পড়াশোনা করার আগ্রহ থেকে তিনি নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ল’ স্কুলে ভর্তি হন। এরপর তিনি নিউ ইয়র্ক বার পরীক্ষায় বসেন, যেখানে তিনি দুবার অকৃতকার্য হন।
তবে তৃতীয় চেষ্টায় তিনি সফল হন। তাঁর জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো ‘জর্জ’ ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠা। ম্যাগাজিনটি রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করত।
জন এফ. কেনেডি জুনিয়র মনে করতেন, “রাজনীতি শুধু রাজনীতিবিদদের জন্য নয়, সবারই এতে অংশ নেওয়া উচিত।
জন এফ. কেনেডি জুনিয়রের জীবন ছিল উত্থান-পতনে ভরা। তাঁর খ্যাতি, রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হওয়া এবং নিজের প্রতিভার মাধ্যমে তিনি পরিচিতি লাভ করেন।
তাঁর জীবনযাত্রা, কর্মজীবন এবং সমাজের প্রতি তাঁর অবদান আজও মানুষের মনে গভীর ছাপ ফেলে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন