জন সি রেইলির মুখ: সুন্দর নিতম্ব, সিনেমা ও সঙ্গীতের গোপন কথা!

জন সি রেইলি: অভিনয় থেকে সঙ্গীত, সিনেমার দুনিয়া আর জীবনের পথে

বহু প্রতিভার অধিকারী মার্কিন অভিনেতা জন সি রেইলি। অভিনয়ের জগতে তাঁর বিচরণ বহুদিনের, যেখানে তিনি একইসাথে হাসির এবং গভীর, দুটো ধরনের চরিত্রেই দর্শকদের মন জয় করেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর অভিনয় জীবন, নতুন সঙ্গীত প্রকল্প ‘মিস্টার রোমান্টিক’, সিনেমা এবং জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন। আসুন, সেই আলাপচারিতার কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ জেনে নিই।

অভিনয়ের পথে: হাসি-কান্না আর সততার মিশেল

জন সি রেইলির মতে, ভালো অভিনেতা হতে গেলে চরিত্রকে গভীর ভাবে বুঝতে পারা জরুরি। তিনি মনে করেন, একজন অভিনেতা যখন তাঁর চরিত্রে সৎ থাকেন, তখনই দর্শক তাঁর অভিনয়ের সাথে একাত্ম হতে পারে। তিনি বলেন, “জীবনে যেমন হাসি-কান্না একসাথে চলে, তেমনই অভিনয়েও হাস্যরস আর গভীরতা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।” তাঁর মতে, একজন অভিনেতা যদি কোনো চরিত্রে ভালো না করেন, তবে সেই অভিনয় দর্শকের কাছে ব্যর্থ হয়।

সঙ্গীতের ভুবনে: ‘মিস্টার রোমান্টিক’-এর জন্ম

অভিনয়ের পাশাপাশি জন সি রেইলির সঙ্গীতের প্রতিও গভীর ভালোবাসা রয়েছে। তাঁর নতুন সঙ্গীত প্রকল্প ‘মিস্টার রোমান্টিক’-এর ধারণা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘শিকাগো’ (Chicago) নাটকে ‘মিস্টার সেলফোন’ চরিত্রে অভিনয় করার পর তাঁর মঞ্চ সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা আরও বাড়ে। এরপর তিনি অনুভব করেন, বর্তমানের কঠিন সময়ে ভালোবাসার কথা শোনানো দরকার। তাই তিনি তৈরি করেন ‘মিস্টার রোমান্টিক’ চরিত্রটি, যিনি ভালোবাসার বার্তা নিয়ে আসেন। এই অ্যালবামের অনুপ্রেরণা সম্পর্কে তিনি জানান, হ্যারি নিলসন, ইভিং বার্লিন, টম ওয়েটস এবং ন্যাট কিং কোলের মতো কিংবদন্তি শিল্পীরা তাঁর কাছে আদর্শ।

সিনেমার জগৎ: উত্থান-পতন আর টিকে থাকার লড়াই

সিনেমা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জন সি রেইলি বলেন, প্রতিটি সিনেমাই যেন একটি প্রার্থনা। তিনি মনে করেন, একটি সিনেমা ভালো কাজ না করলে, তার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে, তিনি সবসময় চেষ্টা করেন তাঁর কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে। তাঁর মতে, সিনেমার জগৎ সবসময়ই পরিবর্তনশীল, কিন্তু শিল্প কখনো মরে যায় না। তিনি কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছিলেন এবং সেখানকার সিনেমা দেখে নতুন করে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।

অলিভার হার্ডির প্রতি শ্রদ্ধা

সাক্ষাৎকারে নিজের অভিনীত ‘স্ট্যান অ্যান্ড অলি’ ছবিতে অলিভার হার্ডির চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা নিয়েও কথা বলেন রেইলি। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকে অলিভার হার্ডিকে অনুসরণ করে এসেছেন। হার্ডির অভিনয়শৈলী তাঁকে সবসময় মুগ্ধ করে। তিনি আরও বলেন, অলিভার হার্ডি একজন অসাধারণ শিল্পী ছিলেন, কিন্তু তাঁর কণ্ঠের গানগুলো সেভাবে রেকর্ড করা হয়নি, যা তাঁর কাছে দুঃখের।

ব্যক্তিগত অনুভূতি

জন সি রেইলি তাঁর ভালোলাগা এবং দুর্বলতা সম্পর্কেও খোলামেলা কথা বলেছেন। কেউ তাঁর প্রশংসা করলে, তা তিনি সহজে গ্রহণ করতে পারেন না। তিনি সবসময় নিজেকে আরও ভালো করার চেষ্টা করেন এবং নিজের ভুলগুলো দেখেন।

সবশেষে, জন সি রেইলি দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনার পছন্দের সিনেমা এবং শিল্পকর্মগুলোর পাশে থাকুন। তাহলেই সেগুলো বেঁচে থাকবে।” তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘হোয়াটস নট টু লাভ?’ ১৩ই জুন তাঁর নিজস্ব লেবেল ‘ইটারনাল ম্যাজিক রেকর্ডিংস’ থেকে মুক্তি পাবে।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *