জন পার্ডি: সঙ্গীতের জগতে পিতার রূপকথা।
আমেরিকান কান্ট্রি সংগীতের পরিচিত মুখ জন পার্ডি। সম্প্রতি তিনি প্রকাশ করেছেন তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘হনকাইটনক হলিউড’। এই অ্যালবামের মাধ্যমে যেন জীবনের নতুন এক অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছেন তিনি।
৩৯ বছর বয়সী এই শিল্পী এখন দুই কন্যা সন্তানের জনক। তাই গানের জগতে যেমন তাঁর পরিচিতি রয়েছে ‘পার্ডি-হার্ডি’ হিসেবে, তেমনই তিনি এখন ‘মিস্টার সানডে মর্নিং’ও বটে।
নতুন অ্যালবামে পিতার দায়িত্ব ও পরিবারের প্রতি তাঁর ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। গানগুলোতে একদিকে যেমন রয়েছে তাঁর চিরাচরিত ‘কান্ট্রি-রক’ ঘরানার সুর, তেমনই রয়েছে জীবনের গভীর বিষয়গুলো।
তাঁর কথায়, এই অ্যালবামটি তাঁর শিল্পী জীবনের পাশাপাশি একজন মানুষ হিসেবেও বেড়ে ওঠার প্রতিচ্ছবি। গানের বিষয় নির্বাচনেও এসেছে পরিবর্তন। আগের তুলনায় যেন একটু বেশি ‘আবেগঘন’ হয়েছে তাঁর গানগুলো।
পিতা হওয়ার পর জীবনটা তাঁর কেমন বদলে গেছে, সে কথা বলতে গিয়ে জন পার্ডি জানান, এখন তাঁর ‘আর্দ্র সকাল’। তাঁর দুই মেয়ে—প্রেসলি ফন (২ বছর) এবং সিয়েনা গ্রেস (৯ মাস)।
তাঁদের সঙ্গেই কাটে তাঁর দিনের বেশিরভাগ সময়। বাবা হিসেবে তাদের ভালো রাখার চেষ্টা করেন তিনি। তাদের পছন্দের প্রতিও মনোযোগ দেন।
মেয়েদের ভালো লাগার কথা ভেবে তিনি ‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’ কার্টুনটিও উপভোগ করেন।
পিতা হওয়ার পর নিজের স্বাস্থ্যের দিকেও আগের চেয়ে অনেক বেশি মনোযোগ দিয়েছেন জন পার্ডি। সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করেন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
এমনকি, তিনি এখন মদ্যপানও প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে, একজন ভালো বাবা হওয়ার জন্য শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা জরুরি।
জন পার্ডির নতুন অ্যালবামে তাঁর স্ত্রী সামারের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশও রয়েছে। ২০১৭ সালে একটি ‘ blind date’-এর মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় হয় এবং ২০২০ সালে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
অ্যালবামটিতে তাঁদের সম্পর্কের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে, এই দম্পতি তাঁদের নতুন বাড়ির নির্মাণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তাঁদের বাড়ির প্রধান আকর্ষণ হলো ব্যায়ামাগার। কারণ, তাঁরা দুজনেই শরীরচর্চা করতে ভালোবাসেন।
জন পার্ডি তাঁর পরিবারের জন্য একটি বিশেষ ট্যুর বাস তৈরি করছেন, যেখানে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য আলাদা স্থান রাখা হয়েছে।
বর্তমানে তিনি আগস্ট মাস পর্যন্ত বিভিন্ন কনসার্টে অংশ নিচ্ছেন।
মেয়েরা বাবার গান কতটা উপভোগ করে, জানতে চাইলে জন পার্ডি বলেন, “তারা আমার মিউজিক ভিডিও পছন্দ করে।
তারা জানে, বাবা গান গাইছে।” তবে বাবার চেয়ে তাদের প্রিয় গান ‘টুইংকেল টুইংকেল লিটল স্টার’।
তথ্যসূত্র: পিপল