ছোট শহর থেকে আসা এক তরুণ-তরুণীর আত্ম-অনুসন্ধানের গল্প নিয়ে একটি নতুন উপন্যাস লিখেছেন জোনাথন ভ্যান নেস এবং জুলি মারফি।
বইটির নাম ‘লেট দেম স্টায়ার’। গল্পটি আবর্তিত হয়েছে সুলি নামের আঠারো বছর বয়সী এক তরুণকে নিয়ে, যে নিজেকে প্রচলিত লিঙ্গ পরিচয়ের বাইরে ভাবে।
আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ার একটি ছোট শহরে তার বসবাস।
উপন্যাসে দেখা যায়, সুলি শহরটি থেকে পালাতে চায়। কিন্তু তার সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেলে সে একটি পুরনো দোকানে আশ্রয় নেয়।
সেখানে সে একটি পুরনো ব্যাগ খুঁজে পায়, যেটিতে ১৯৫০ দশকের একজন ড্র্যাগ পারফর্মার রুফাসের আত্মা বন্দী।
রুফাস কীভাবে মারা গিয়েছিল, সে বিষয়ে তার কোনো স্মৃতি নেই। সুলি রুফাসকে সাহায্য করতে গিয়ে আবিষ্কার করে, তাদের ছোট শহরটিতে হয়তো আরও অনেক কিছু লুকানো আছে, যা আগে সে খেয়াল করেনি।
এই উপন্যাসের ধারণা কীভাবে এলো, জানতে চাইলে জোনাথন ভ্যান নেস বলেন, ২০২২ সালে তিনি একটি দারুণ ব্যাগ কিনেছিলেন।
এরপর তার মনে হয়, যদি সেই ব্যাগে কোনো আত্মাকে পাওয়া যেত, তাহলে কেমন হতো! লেখিকা জুলি মারফির সঙ্গে এই ধারণা নিয়ে কাজ করার পর তারা দুজনেই একটি নতুন ধরনের গল্প তৈরি করেছেন।
লেখিকা জুলি মারফি জানান, তারা দুজনেই এই গল্পে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও ভাবনা যুক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, “আমি সবসময় চেয়েছি, এমন গল্প লিখতে যেখানে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
এই বইটিতেও সেই চেষ্টা করা হয়েছে।
বিশেষ করে, রূপান্তরকামী তরুণ-তরুণীদের নিজেদের খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে।”
এই উপন্যাসের মাধ্যমে লেখকেরা তরুণ পাঠকদের জানাতে চেয়েছেন, ছোট শহরগুলোতেও তাদের জন্য অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
জোনাথন ভ্যান নেস বলেন, “আমরা এমন একটি জগৎ তৈরি করতে চেয়েছি, যেখানে সবাই নিজেদের মতো করে বাঁচতে পারে এবং উদযাপন করতে পারে।”
উপন্যাসটির মূল বার্তা হলো, সমাজে যারা ভিন্ন, তাদের দিকে তাকিয়ে থাকা মানুষদের ভয় না পেয়ে নিজেদের প্রকাশ করতে উৎসাহিত করা।
লেখকদের মতে, যারা ভিন্ন, তাদের দিকে তাকিয়ে থাকা মানে তাদের সম্পর্কে আরও বেশি জানা এবং তাদের স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা।
‘লেট দেম স্টায়ার’ বইটি এখন পাওয়া যাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: পিপল