জশ ডুহামেলের ‘ডুমসডে’ কুটির: কোথায় সময় কাটান অভিনেতা? অবাক করা তথ্য!

হলিউডের ঝলমলে দুনিয়া থেকে দূরে, প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটাতে ভালোবাসেন অভিনেতা জোশ ডুহামেল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে নিজের ‘ডুমসডে ক্যাবিন’-এ সময় কাটানো তার খুবই প্রিয়। এই নির্জন স্থানে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো এবং প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি।

শহুরে জীবনের কোলাহল থেকে দূরে, এমন একটি জীবনযাত্রা অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় হতে পারে।

জোশ ডুহামেলের এই ‘ডুমসডে ক্যাবিন’ আসলে মিনেসোটার গভীর অরণ্যে অবস্থিত, যা শহরের সব ব্যস্ততা থেকে অনেক দূরে। সেখানকার জীবনযাত্রা সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডুহামেল জানান, সেখানে দোকান থেকে শুরু করে সবকিছুই অনেক দূরে।

প্রকৃতির মাঝে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, একসঙ্গে খাবার তৈরি করা এবং উষ্ণতা উপভোগ করাই আসল আনন্দ।

মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে শুধু জোশ ডুহামেলই নন, আরো অনেকেই প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটাতে পছন্দ করেন। রাজ্যটির প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এখানে প্রায় ৪৬টি বনভূমিতে এক হাজারের বেশি ক্যাম্পিং সাইট রয়েছে, যেখানে মানুষজন প্রকৃতির মাঝে কিছুদিন কাটানোর সুযোগ পায়।

এছাড়া, রাজ্যের বিভিন্ন পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি ক্যাম্পিং সাইট, কেবিন এবং গেস্টহাউস। যারা একটু আরামপ্রিয়, তাদের জন্য এখানে রয়েছে গ্ল্যাম্পিংয়েরও ব্যবস্থা।

গ্ল্যাম্পিং হলো এক ধরনের বিলাসবহুল ক্যাম্পিং, যেখানে প্রকৃতির কাছাকাছি থেকেও আধুনিক সব সুবিধা উপভোগ করা যায়। মিনেসোটার পাইন সিটিতে অবস্থিত সুইটব্রিয়ার রিজ-এর মতো স্থানে স্বচ্ছ গম্বুজ-আকৃতির তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে রান্নাঘর এবং আরামদায়ক বিছানার মতো সুবিধাগুলোও বিদ্যমান।

এছাড়াও, নর্থ শোর ক্যাম্পিং কোং-এর মতো জায়গায় সাধারণ তাঁবুর পাশাপাশি কিং সাইজের বিছানার ব্যবস্থাও রয়েছে।

বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেও আজকাল প্রকৃতির কাছাকাছি, শান্ত পরিবেশে সময় কাটানোর প্রবণতা বাড়ছে। শহরের কর্মব্যস্ত জীবন থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই অবকাশ যাপনের জন্য বেছে নিচ্ছেন বিভিন্ন রিসোর্ট এবং প্রকৃতির কাছাকাছি অবস্থিত স্থানগুলো।

জোশ ডুহামেলের এই নির্জন জীবনযাত্রা হয়তো অনেকের কাছেই একটি ভিন্ন ধরনের অনুপ্রেরণা। প্রকৃতির কাছাকাছি, প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো—এটাই যেন জীবনের আসল সৌন্দর্য।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লিজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *