যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগে ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তকে আপাতত স্থগিত করেছেন দেশটির একটি আদালত। বৃহস্পতিবার বোস্টনের একটি ফেডারেল আদালত এই নির্দেশ দেন।
আদালতের এই নির্দেশের ফলে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপটি আটকে গেল।
আদালতের বিচারক মায়ং জোন এক অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষা বিভাগ থেকে যাদের ছাঁটাই করা হয়েছিল, তাদের পুনর্বহাল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের এমন সিদ্ধান্তের কারণ হলো, শিক্ষা বিভাগ বন্ধের লক্ষ্যে নেওয়া ট্রাম্প প্রশাসনের দুটি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন স্থগিত করা। গত মার্চ মাসে এই পরিকল্পনাগুলো ঘোষণা করা হয়েছিল।
আদালতে দায়ের করা এক মামলায় সোমারভিল ও ইস্টহ্যাম্পটনের স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং আমেরিকান ফেডারেশন অব টিচার্সসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা বিষয়ক সংগঠন এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে। তাদের যুক্তি ছিল, কর্মী ছাঁটাইয়ের এই সিদ্ধান্ত কার্যত শিক্ষা বিভাগকে অচল করে দেবে।
এর ফলে বিশেষ শিক্ষা, আর্থিক সহায়তা বিতরণ এবং নাগরিক অধিকার আইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিচারক জোন তাঁর আদেশে উল্লেখ করেন, এই ছাঁটাইয়ের ফলে শিক্ষা বিভাগের কর্মীদের মধ্যে আর্থিক অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।
এর ফলস্বরূপ ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমেরিকার দুর্বল শিক্ষার্থীরা।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের ব্যাপক ছাঁটাই সম্ভবত শিক্ষা বিভাগকে পঙ্গু করে দেবে।
আদালত শিক্ষা বিভাগকে গত ১১ই মার্চে যাদের ছাঁটাই করা হয়েছিল, তাদের অবিলম্বে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন অবশ্য দাবি করেছে, কর্মী ছাঁটাইয়ের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিভাগের কার্যকারিতা বাড়াতে, বিভাগ বন্ধ করার জন্য নয়। যদিও ট্রাম্প এর আগে এই বিভাগটি বন্ধ করার কথা বলেছিলেন।
তবে তিনি এটাও জানেন যে, এটি করতে হলে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন। প্রশাসন বলছে, বিভাগ পুনর্গঠনের কারণে কিছু পরিষেবাতে প্রভাব পড়তে পারে, তবে তারা তাদের আইনগত বাধ্যবাধকতাগুলো পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তথ্য সূত্র: সিএনএন