মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা একটি নির্বাহী আদেশ বাতিল করে দিয়েছে। এই আদেশের লক্ষ্য ছিল প্রভাবশালী আইন সংস্থা উইলমারহেল।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, এই আদেশটি ছিল অসাংবিধানিক। বিচারক রিচার্ড লিওন, যিনি জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, এই রায় দেন।
আদালতের দেওয়া তথ্যানুসারে, ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশটি উইলমারহেলের আইনজীবীদের ফেডারেল ভবনগুলোতে প্রবেশে বাধা দেয় এবং তাদের ক্লায়েন্টদের সরকারি চুক্তি বাতিল করারও হুমকি দেয়। এছাড়াও, আইন সংস্থাটির আইনজীবীদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র স্থগিত করা হয়।
বিচারক তাঁর রায়ে উল্লেখ করেন, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞাগুলো ক্লায়েন্টদের উইলমারহেলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করবে।
আদালত মনে করে, ট্রাম্পের এই আদেশটি উইলমারহেলের প্রথম সংশোধনী অধিকার (বাক স্বাধীনতা) এবং যথাযথ বিচার প্রক্রিয়ার অধিকার লঙ্ঘন করেছে।
উইলমারহেল একটি সুপরিচিত আইন সংস্থা, যার সঙ্গে বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলারের সম্পর্ক ছিল। মুলার ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের তদন্তের তত্ত্বাবধান করেছিলেন।
আদালতের এই রায়টি এমন সময়ে এসেছে, যখন একই আদালতের অন্য একজন বিচারক, জন বেটস, ট্রাম্পের আরেকটি অনুরূপ আদেশ বাতিল করেছেন। সেই আদেশটি ছিল জেন্নার অ্যান্ড ব্লক নামক একটি আইন সংস্থার বিরুদ্ধে।
এর আগে, একই আদালতের তৃতীয় জন বিচারক পারকিন্স কোই নামক একটি সংস্থার বিরুদ্ধে জারি করা প্রেসিডেন্টের পৃথক আদেশ কার্যকর করতে সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
এই ঘটনাগুলো, মার্কিন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ক্ষমতার পৃথকীকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। এর মাধ্যমে আদালতের স্বাধীনতা ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন