বিখ্যাত হলিউড অভিনেত্রী জুলিয়া স্টাইলস, যিনি একসময় ‘সেভ দ্য লাস্ট ডান্স’ এবং ‘টেন থিংস আই হেট অ্যাবাউট ইউ’র মতো সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন, সম্প্রতি তার অভিনয় জীবন এবং নতুন কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন। সিনেমায় তার যাত্রা, পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করা এবং ব্যক্তিগত উপলব্ধির নানা দিক নিয়ে এই আলাপচারিতা।
নব্বইয়ের দশকে ‘টেন থিংস আই হেট অ্যাবাউট ইউ’-এর মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া এই অভিনেত্রী পরবর্তীতে ‘বোর্ন’ সিনেমা সিরিজেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার কাজের ধরন সম্পর্কে বলতে গিয়ে স্টাইলস জানান, পরিচালক পল গ্রিনগ্রাসের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। গ্রিনগ্রাসের ক্যামেরার কাজের ধরন সম্পর্কে তিনি বলেন, “তিনি একজন দূরদর্শী পরিচালক, যিনি মুহূর্তের ছবিগুলোকেও ধারণ করতে পারতেন।”
অভিনয়ের বাইরে স্টাইলসের আগ্রহ রয়েছে পরিচালনাতেও। তিনি তার প্রথম ছবি ‘উইশ ইউ ওয়ার হিয়ার’ পরিচালনা করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, অভিনয়ের পাশাপাশি, পড়াশোনা তাকে গল্প বলার কৌশল শিখিয়েছে, যা তার পরিচালনাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। সিনেমা নির্মাণের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি প্রখ্যাত পরিচালক ডগ লিমানের একটি মূল্যবান পরামর্শের কথা উল্লেখ করেন।
কমেডি চরিত্রে অভিনয় করতেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন জুলিয়া স্টাইলস। তিনি জানান, কমেডি চরিত্রে কাজ করাটা তার কাছে অন্যরকম ভালো লাগার জন্ম দেয়। আসন্ন ক্রিসমাস কমেডি ‘আনবিয়ারেবল ক্রিসমাস’-এ কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, “এটি ছিল আমার জীবনের অন্যতম মজাদার অভিজ্ঞতা।”
চলচ্চিত্রের বাইরে, স্টাইলসের ব্যক্তিগত জীবন এবং পছন্দের কিছু দিকও আলোচনায় এসেছে। তিনি জানান, নিউ ইয়র্কের পিৎজা তার খুব প্রিয়। তিনি আরও বলেন, তিনি একসময় ভালো রান্না করতেন, তবে এখন তিন সন্তানের মা হওয়ায়, বাচ্চাদের পছন্দের খাবার তৈরিতেই তার মনোযোগ বেশি।
‘ডেক্সটার’ টিভি সিরিজে তার চরিত্র এবং ‘রিভিয়েরা’ সিরিজের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, চরিত্র এবং গল্পের প্রতি আকর্ষণ না থাকলে, তিনি কোনো কাজ করেন না।
‘টেন থিংস আই হেট অ্যাবাউট ইউ’ ছবিতে তার অভিনীত চরিত্রের একটি বিখ্যাত সংলাপ আজও অনেকের মনে আছে। সেই সংলাপটি তিনি পুরোটা মনে করতে না পারলেও, ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশ করার এই দৃশ্যটি আজও দর্শকদের হৃদয়ে গেঁথে আছে।
জুলিয়া স্টাইলসের অভিনয় জীবনের এই বিচিত্র অভিজ্ঞতা, সিনেমা এবং ব্যক্তিগত অনুভূতির মিশ্রণে তৈরি হয়েছে। তার কাজের প্রতি ভালোবাসা, নতুন কিছু করার চেষ্টা এবং একজন শিল্পী হিসেবে নিজেকে আরও বিকশিত করার আগ্রহ, তাকে আজকের অবস্থানে এনেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান