চরম! যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্কের পর মাদক মামলায় অভিযুক্ত হয়ে দেশে ফিরলেন জুনিয়র

শিরোনাম: মাদক ও অস্ত্র পাচারের অভিযোগে মেক্সিকোতে ফেরত পাঠানো হলো বক্সার জুনিয়রকে।

যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা আইন লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মেক্সিকোর কিংবদন্তি বক্সার জুলিয়ো সিজার শাভেজ সিনিয়রের ছেলে জুনিয়রকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে মাদক পাচার, অস্ত্র চোরাচালান এবং কুখ্যাত সিনালোয়া কার্তেলের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে।

মেক্সিকোর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এপি (AP)-কে জানানো হয়েছে, জুনিয়রকে আটকের পর দেশটির হোরমসিও শহরের একটি কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবামও এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জুনিয়রকে গতকাল নাকি আজ সকালে ফেরত পাঠানো হয়েছে, সে বিষয়ে তার কাছে খবর রয়েছে।

৩৯ বছর বয়সী জুনিয়রের বিরুদ্ধে ২০১৬ সাল থেকে মাদক ও অস্ত্র পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছিল। মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যালেহান্দ্রো গার্টজ ম্যানেরো জানিয়েছেন, ২০১৯ সাল থেকে এই মামলার তদন্ত চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, সিনালোয়া কার্তেলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।

জুনিয়র মূলত একজন বক্সার হিসেবেই পরিচিত। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন ইউটিউবার জ্যাক পল।

জুনিয়রের বাবা জুলিয়ো সিজার শাভেজ ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে বক্সিং বিশ্বে বিশাল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন এবং কুখ্যাত মাদক সম্রাট আমাডো ক্যারিলো ফুয়েন্তেসের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের কথা শোনা যায়।

বাবার মতো খ্যাতিমান হলেও জুনিয়রের ক্যারিয়ার ছিল বিতর্কের জন্ম দেওয়া। মাদকাসক্তি, ড্রাগ টেস্টে অকৃতকার্য হওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা—এসব কারণে তিনি প্রায়ই সমালোচিত হয়েছেন। ২০১১ সালে তিনি ওয়ার্ল্ড বক্সিং কাউন্সিলের (WBC) মিডলওয়েট খেতাব জেতেন এবং তিনবার সেই খেতাব ধরে রাখতে সক্ষম হন। ক্যানেলো আলভারেজ ও সার্জিও মার্টিনেজের মতো খ্যাতিমান বক্সারদের সঙ্গে লড়াইয়ে তিনি হেরে যান।

আগেও অবশ্য জুনিয়রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে। ২০১২ সালে মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোর দায়ে তাকে ১৩ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অস্ত্র রাখার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তার কাছ থেকে দুটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে অবশ্য ৫০ হাজার ডলার বন্ডের বিনিময়ে তিনি মুক্তি পান এবং মাদক নিরাময় কেন্দ্রে যাওয়ার শর্ত দেওয়া হয়। বর্তমানে এই মামলার কার্যক্রম চলছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *