ম্যাকলরয়ের জয়ে রোজের নীরব কান্না: মাস্টার্সের মঞ্চে এক অসাধারণ দৃশ্য!

বাংলার ক্রীড়া জগতে আবারও এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের উদয়! বিশ্বখ্যাত গল্ফ টুর্নামেন্ট ‘মাস্টার্স’-এ (Masters) বাজিমাত করলেন রোরি ম্যাকলরয় (Rory McIlroy)। তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্সে শুধু একটি জয়ই আসেনি, বরং তিনি সম্পূর্ণ করলেন ‘ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম’। যা গল্ফ ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত।

অন্যদিকে, এই জয়ে যিনি সবচেয়ে বেশি আলোচনায়, তিনি হলেন জাস্টিন রোজ (Justin Rose)। তাঁর অসাধারণ চেষ্টা সত্ত্বেও, অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছে সেরার শিরোপা।

প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হওয়া মাস্টার্স টুর্নামেন্ট গল্ফ বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্টগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশ্বের সেরা গলফাররা এখানে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে একত্রিত হন।

এবারের আসরে রোরি ম্যাকলরয় ছিলেন ফেভারিটদের মধ্যে। শুরু থেকেই তিনি ছিলেন দারুণ ফর্মে।

ফাইনাল রাউন্ডে জাস্টিন রোজের সঙ্গে তাঁর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। রোজও ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাকলরয়ের দৃঢ়তা জয় ছিনিয়ে আনে।

জাস্টিন রোজের স্কোরকার্ড দেখলে তাঁর প্রতিভার প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি ৬১, ৭১, ৭৫ এবং ৬৬ স্কোর করেন।

খেলার শেষে তিনি বলেন, “আজকের পারফরম্যান্স আমার সেরা রাউন্ডের কাছাকাছি ছিল।” রোজের এই কথা থেকেই বোঝা যায়, কতটা কাছাকাছি ছিলেন তিনি।

এই টুর্নামেন্টে তিনি রানার-আপ হয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।

ম্যাকলরয়ের এই জয়ে জাস্টিন রোজের প্রশংসা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিজয়ী হওয়ার পর রোজ এগিয়ে এসে ম্যাকলরয়কে অভিনন্দন জানান।

খেলা শেষে রোজ বলেন, “আমি এখানে ছিলাম, এটা আমার জন্য সম্মানের, কারণ আমি ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছি।” রোজের এই ক্রীড়াসুলভ মনোভাব সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।

খেলার মাঠে এমন উদাহরণ খেলোয়াড়দের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আরও বাড়ায়।

ম্যাকলরয়ের এই জয় শুধু তাঁর একার নয়, বরং গোটা ইউরোপের জন্যেও একটি বিশেষ মুহূর্ত। কারণ, এই জয় তাঁদের মধ্যেকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে।

আসন্ন রাইডার কাপের (Ryder Cup) আগে এই জয় নিঃসন্দেহে ইউরোপীয় দলগুলোর মনোবল আরও বাড়িয়ে দেবে।

খেলাধুলায় এমন উত্থান-পতন থাকবেই। জাস্টিন রোজ হয়তো এবার জিততে পারেননি, কিন্তু তাঁর লড়াই এবং ম্যাকলরয়ের প্রতি তাঁর সম্মান, দু’টিই ক্রীড়ামোদী মানুষের মনে গেঁথে থাকবে।

খেলার হার-জিতের ঊর্ধ্বে উঠে, খেলোয়াড়দের এই ধরনের মানসিকতা ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *