১১ বছরের কালিয়াহ কোয়ার মৃত্যু: ভয়াবহ সত্য প্রকাশ!

১১ বছর বয়সী কালিয়াহ কোয়া নামের এক কিশোরীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে লন্ডনের টেমস নদীতে। মার্চ মাসের শেষের দিকে নিখোঁজ হওয়ার পর, এপ্রিল মাসে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

সম্প্রতি, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গেছে, কালিয়াহ পানিতে ডুবে মারা যায়নি, বরং নদীর ঠান্ডা পানিতে বেশিক্ষণ থাকার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

পূর্ব লন্ডনের করোনার্স কোর্টে এই মামলার শুনানিতে জানানো হয়, সম্ভবত কালিয়াহ তার একটি হারানো জুতো কুড়াতে গিয়ে নদীতে পড়ে যায়। ঠান্ডা পানির কারণে দ্রুতই সে জ্ঞান হারায় এবং তার মৃত্যু হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা গ্রেহাম ইরভিন বিবিসিকে জানান, “ঠান্ডা পানিতে থাকলে দ্রুতই সংজ্ঞা হারানো এবং মৃত্যু ঘটার সম্ভবনা থাকে।”

পুলিশের ধারণা, ঘটনার দিন কালিয়াহ স্কুলে যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বার্জ হাউস কজওয়ের কাছেই মেয়েটি পানিতে নেমেছিল।

ঘটনার সময়, কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সাহায্যের জন্য চিৎকার করতেও দেখেছিল।

কালিয়াহের পরিবার তাদের শোক প্রকাশ করে বলেছে, “আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে এবং আমাদের জীবন আর আগের মতো থাকবে না। কালিয়াহ আমাদের জীবনে ছিল, যদিও তা খুব অল্প সময়ের জন্য।

আমরা তাকে খুব মিস করব।” তারা এই কঠিন সময়ে তাদের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য সকলের কাছে অনুরোধ করেছেন।

মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিটেকটিভ সুপারিনটেনডেন্ট স্কট ওয়্যার বলেন, “এই দুঃখজনক দুর্ঘটনায় একটি ছোট্ট মেয়ে, যাকে সবাই ভালোবাসত, আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।

আমাদের বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তারা কালিয়াহের পরিবারের পাশে আছেন এবং তাদের এই শোক কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবেন।

এই ঘটনার পর, নদী এবং জলাশয়ের আশেপাশে শিশুদের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে বাংলাদেশে, যেখানে অসংখ্য নদ-নদী ও জলাশয় রয়েছে, সেখানে সাঁতার কাটার সময় এবং জল পথের কাছাকাছি বসবাসকারী মানুষদের আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *