মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস আগামী সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা দিতে যাচ্ছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতাগ্রহণের ১০০ দিন পূর্তির ঠিক পরেই তিনি এই ভাষণ দেবেন।
নারীদের রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় করতে কাজ করা একটি সংগঠন, ইমার্জ-এর বার্ষিক সম্মেলনে এই বক্তৃতাটি অনুষ্ঠিত হবে। খবরটি জানিয়েছে সিএনএন।
ইমার্জ মূলত ডেমোক্রেটিক পার্টির নারী রাজনীতিবিদদের প্রশিক্ষণ দেয় এবং তাদের জন্য একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে। এই সংগঠনের ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হ্যারিস প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে প্রায় ১০০০ নারী এই সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন পদে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ইমার্জের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও, এ’শান্তি এফ. ঘোলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস ইমার্জের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তিনি সবসময় নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সমর্থন জুগিয়েছেন।”
অনুমান করা হচ্ছে, হ্যারিসের এই বক্তৃতায় ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির কঠোর সমালোচনা থাকতে পারে। বক্তৃতায় তিনি ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতিকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন এবং আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংকট নিয়ে কথা বলতে পারেন।
হ্যারিস সম্ভবত তাঁর বক্তব্যে জনগণকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করবেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হ্যারিসের এই বক্তৃতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে তাঁর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনার একটি আভাস পাওয়া যেতে পারে।
বর্তমানে তিনি ২০২৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর পদে অথবা ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ভাবছেন।
সিএনএন এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, হ্যারিসের উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি একই সাথে দুটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। অর্থাৎ, গভর্নর নির্বাচিত হওয়ার পরপরই সম্ভবত তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রচার শুরু করতে হবে।
কমলা হ্যারিসের এই ভাষণটি শুধু একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষীই হবে না, বরং এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে নারী নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ নিয়েও নতুন আলোচনার জন্ম দেবে।
এই ভাষণে, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি এবং দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংকট নিয়ে তাঁর মূল্যায়ন, বাংলাদেশি পাঠকদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন
