বিখ্যাত মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ক্যান্ডি বারাস সম্প্রতি তার পিসি (আর্থাৎ, কাকার স্ত্রী) বা খালাতো বোন বেরথা জোন্সের আলঝাইমার্স রোগ ধরা পড়ার কথা জানিয়েছেন।
গত বুধবার, ২১শে মে তারিখে অ্যামাজন লাইভে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই দুঃসংবাদটি জানান।
বারাস, যিনি ‘রিয়েল হাউজওয়াইভস অফ আটলান্টা’ রিয়্যালিটি শো-এর মাধ্যমে পরিচিত, জানিয়েছেন এই রোগ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মানসিক ও শারীরিক কষ্টের কথা।
তিনি বলেন, “বিষয়টা আমাদের জন্য খুবই কঠিন, কারণ আমার পিসি বেরথার আলঝাইমার্স হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে সবকিছু সামলাব, সেটাই এখন প্রধান চিন্তার বিষয়।”
তিনি আরও যোগ করেন, “যদি কারো পরিবারের কোনো সদস্য এই রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে বুঝবেন, এটা মোটেও সহজ নয়।”
আলঝাইমার্স একটি স্নায়ু-সংক্রান্ত রোগ, যা মস্তিষ্কের কোষগুলোর ক্ষতি করে।
এর ফলে স্মৃতিশক্তি, চিন্তা করার ক্ষমতা এবং ব্যবহার ধীরে ধীরে কমতে থাকে, যা দৈনন্দিন জীবনকে কঠিন করে তোলে।
বারাস তার পরিবারের এই কঠিন সময়ে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
বেরথা জোন্স ‘ওল্ড লেডি গ্যাং’-এর একজন সদস্য।
এই দলে আরও আছেন ক্যান্ডি বারাসের মা, এবং পিসি নোরা উইলকো।
এই ত্রয়ী ‘রিয়েল হাউজওয়াইভস অফ আটলান্টা’র মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন।
এই দলের সম্মানে বারাস আটলান্টায় ‘ওল্ড লেডি গ্যাং’ নামে একটি রেস্টুরেন্টও খুলেছেন, যেখানে তাদের পছন্দের অনেক পদ পরিবেশন করা হয়।
আলঝাইমার্স-এর মতো জটিল রোগগুলো শুধু রোগীর একার নয়, বরং পুরো পরিবারের জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে।
আমাদের সমাজে পরিবারের সদস্যদের প্রতি বিশেষভাবে যত্ন নেওয়ার সংস্কৃতি রয়েছে।
এই ধরনের পরিস্থিতিতে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে সহায়তা করা প্রয়োজন।
ক্যান্ডি বারাসের এই দুঃসংবাদ আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দেয়, আলঝাইমার্স-এর মতো রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং আক্রান্ত ব্যক্তির পাশে দাঁড়ানো কতটা জরুরি।
তথ্য সূত্র: পিপল