ইউরোপীয় ফুটবলে উত্তেজনার ঢেউ, বায়ার্ন মিউনিখের শিরোপা জয় এখনো অপেক্ষমান।
ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে গত কয়েকদিনে ঘটেছে নানা ঘটনা। জার্মানির শীর্ষ ফুটবল লিগ বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখের শিরোপা জয় এখনো এক ম্যাচের জন্য স্থগিত হয়ে গেল।
অন্যদিকে, ইতালির সিরি আ-তে ইন্টার মিলান জয়লাভ করেছে, তবে তাদের ফোকাস এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দিকে।
স্প্যানিশ লা লিগায় বার্সেলোনার জয় অব্যাহত রয়েছে, আর অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের শিরোপা স্বপ্ন কিছুটা হলেও ফিকে হয়ে এসেছে।
এছাড়া, ফরাসি লিগ ওয়ান-এ পিএসজি’র হার এবং ক্রোয়েশিয়ায় ফুটবল ভক্তদের মধ্যে মারামারির খবর পাওয়া গেছে।
জার্মান বুন্দেসলিগার খেলায় আরবি লাইপজিগের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করার ফলে বায়ার্ন মিউনিখের শিরোপা জয় কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে।
বায়ার্নের এখন পয়েন্ট ৭৬, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বায়ার লেভারকুসেনের পয়েন্ট তাদের চেয়ে ৯ কম।
বায়ার্নের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া হয়নি তারকা ফুটবলার হ্যারি কেইনের, যিনি এই ম্যাচে ছিলেন নিষেধাজ্ঞার কারণে।
খেলার শেষ মুহূর্তে লাইপজিগের ইউসুফ পলসেন গোল করে বায়ার্নকে জয় থেকে বঞ্চিত করেন।
জার্মান লীগের আরেকটি ম্যাচে খেলোয়াড়দের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
হেইডেনহেইমের গোলরক্ষক কেভিন মুলার এবং বোখুমের খেলোয়াড় ফিলিপ হফম্যান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মুলার একটি সংঘর্ষে আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারান, এবং হফম্যানের পাঁজরের হাড় ভেঙে ফুসফুসে গুরুতর আঘাত লেগেছে।
এদিকে, ইতালিয়ান সিরি আ-তে ইন্টার মিলান ১-০ গোলে ভেরোনার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছে।
ক্রিস্টিয়ান আসলানির করা একটি পেনাল্টি গোলে তারা জয় নিশ্চিত করে।
এই জয়ের ফলে ইন্টার মিলান ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, শীর্ষে থাকা নাপোলির থেকে তারা ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে।
স্প্যানিশ লা লিগায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে গোলশূন্য ড্র করতে বাধ্য করে আলাভেস।
এই ড্রয়ের ফলে অ্যাটলেটিকোর শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা কমে গেছে।
অন্যদিকে, বার্সেলোনা ২-১ গোলে রিয়াল ভায়াদোলিদকে হারিয়ে লিগে তাদের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে।
ফরাসি লিগ ওয়ানে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ২-১ গোলে স্ট্রসবার্গের কাছে হেরে যায়।
এই ম্যাচে পিএসজি’র মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়ায় এমনটা হয়েছে।
ক্রোয়েশিয়ায় ডিনামো জাগরেব ও হাইদুক স্প্লিটের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় ১৪০ জনের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।
এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান