কান চলচ্চিত্র উৎসব: লেখকের চোখে তাঁর বইয়ের চলচ্চিত্রায়ন।
বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব কান-এ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো “পিলিয়ন” সিনেমার প্রিমিয়ার। সিনেমাটি লেখক অ্যাডাম মার্স-জোন্সের উপন্যাস “বক্স হিল”-এর চিত্ররূপ।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের ঝলমলে দুনিয়ায় লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, তাঁর উপন্যাসের চলচ্চিত্র রূপান্তর, এবং সিনেমার বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরা হলো।
কানের প্রেক্ষাগৃহে পা রাখা যেন এক স্বপ্ন। প্রতি বছর, বিশ্বের চলচ্চিত্র জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্ররা জড়ো হন এখানে।
তাঁদের মধ্যে অন্যতম লেখক অ্যাডাম মার্স-জোনস। তাঁর উপন্যাস “বক্স হিল” অবলম্বনে নির্মিত “পিলিয়ন” সিনেমার প্রিমিয়ারে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি।
লেখকের ভাষায়, মোটরসাইকেলে করে কান যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু বিধি বাম! যাত্রা শুরুর অল্প কিছু দূর যেতেই তাঁর বাইকের ক্লাচ কেবল ছিঁড়ে যায়।
উপন্যাস থেকে সিনেমায় আসার পথে কিছু পরিবর্তন তো ছিলই। গল্পের মূল চরিত্র কলিনের বয়স বাড়ানো হয়েছে, এবং উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র, রে-এর পরিণতিও বদলে দেওয়া হয়েছে।
লেখক মার্স-জোনস এই পরিবর্তনগুলো প্রথমে কিছুটা দ্বিধা নিয়ে দেখেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ছবিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, কারণ তিনি জানতেন, এই সিনেমা বানাতে অনেকে অনেক শ্রম দিয়েছেন।
মার্স-জোনস তাঁর উপন্যাসের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছেন কুইয়ার বাইকার সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে। সিনেমায় এই দিকটি কীভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি বলেন, সিনেমার পরিচালক হ্যারি লাইটন এই গল্পটিকে দর্শকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে চেষ্টা করেছেন।
সিনেমায় অভিনয় করেছেন হ্যারি মেলিং এবং আলেকজান্ডার স্কার্সগার্ডের মতো তারকারা।
সিনেমাটি নিয়ে লেখকের প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র। তিনি যেমন সিনেমার কিছু দিক উপভোগ করেছেন, তেমনই কিছু পরিবর্তনের কারণে তাঁর মনে দ্বিধা ছিল।
বিশেষ করে, মূল উপন্যাসের গভীরতা সিনেমার পর্দায় কতটা ধরে রাখা গেছে, সেই বিষয়ে তাঁর কৌতূহল ছিল।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের পরিবেশ ছিল অন্যরকম। ঝলমলে পোশাক, তারকাদের আনাগোনা, আর সিনেমার উন্মাদনা—সব মিলিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
মার্স-জোনস জানান, কানের এই অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শক মহলে কেমন সাড়া ফেলে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: The Guardian