আলোচনা: ‘কারাতে কিড’-এ নতুন চমক, প্রথম এশীয় ‘কিড’ বেন ওয়াং!

নতুন ‘ক্যার‍্যাটে কিড’ ছবিতে প্রথম এশীয়-মার্কিন অভিনেতা, সিনেমায় ভিন্নতার ছোঁয়া।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘ক্যার‍্যাটে কিড: লিজেন্ডস’। তবে এবারের ছবিটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন একজন এশীয়-মার্কিন অভিনেতা।

এই সিনেমার হাত ধরে, চলচ্চিত্র জগতে এশীয়-মার্কিন প্রতিনিধিত্বের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন হতে যাচ্ছে।

চলচ্চিত্র সমালোচকদের মতে, এই ছবিতে বেন ওয়াংয়ের (Ben Wang) casting একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

কারণ, আগের ‘ক্যার‍্যাটে কিড’ সিনেমাগুলোতে এশীয় চরিত্রের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম ছিল।

এমনকি মূল ‘ক্যার‍্যাটে কিড’ ছবিতে, যা ৪০ বছরেরও বেশি আগে মুক্তি পেয়েছিল, প্রধান চরিত্রে ছিলেন অভিনেতা প্যাট মরিতা, যিনি ছিলেন একজন এশীয়-মার্কিন নাগরিক।

নতুন ছবিতে পুরনো ‘ক্যার‍্যাটে কিড’-এর অভিনেতা রাল্ফ ম্যাকচিও এবং জ্যাকি চ্যান একসঙ্গে কাজ করছেন।

ছবির গল্পে দেখা যাবে, বেন ওয়াংয়ের চরিত্রটি একটি কারাতে প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার জন্য লড়ছে।

শুধু অভিনয় নয়, এই ছবিতে মার্শাল আর্টের গুরু হিসেবে জ্যাকি চ্যানের উপস্থিতি ছবিটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হলিউডে দীর্ঘদিন ধরে এশীয় চরিত্রদের উপস্থাপন নিয়ে বিতর্ক চলেছে।

অনেক ছবিতে তাদের হয় দুর্বল অথবা খলনায়কের ভূমিকায় দেখা গেছে।

এই ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ কম থাকায়, অনেক প্রতিভাবান এশীয় অভিনেতা তাঁদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেননি।

তবে আশার আলো দেখা যাচ্ছে।

সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত কিছু সিনেমা এবং সিরিজে এশীয় অভিনেতাদের জন্য ভালো চরিত্র তৈরি করা হচ্ছে।

মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স-এর ‘শাং-চি’ (Shang-Chi) ছবিতে একজন এশীয় সুপারহিরোর চরিত্র বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

মার্শাল আর্ট ফিল্মগুলোতে সাধারণত গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক এবং আত্ম-অনুসন্ধানের গল্প থাকে।

এই ধরনের সিনেমায় এশীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয়।

নতুন ‘ক্যার‍্যাটে কিড’ ছবিতেও সেই ধারা বজায় রাখা হয়েছে।

এই সিনেমার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মার্শাল আর্ট এবং সিনেমায় নিজেদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে নতুন করে আগ্রহ তৈরি হবে, এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

তথ্যসূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *